সেই ১৫ ট্রেডারের বরখাস্তের নির্দেশ তুলে নিল বিএসইসি

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নয়টি ব্রোকারেজ হাউজের ১৫ জন ট্রেডারকে বরখাস্তের নির্দেশ বাতিল করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2022, 05:05 PM
Updated : 27 April 2022, 05:05 PM

সপ্তাহ খানেক আগে লেনদেনের শুরুতেই দর উল্লেখ না করে ‘মার্কেট প্রাইসে’ শেয়ার বিক্রির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি)।

বুধবার সেই নির্দেশ বাতিলের কথা জানিয়েছেন কমিশনের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বরখাস্তের আদেশ তুলে নিতে ব্রোকারদের পক্ষ থেকে বিএসইসির কাছে আবেদন করা হয়েছিল। ডিএসইর ব্রোকারদের সংগঠন ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশও (ডিবিএ) অনুরোধ করেছিল ব্যবস্থা না নিতে।

“সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বরখাস্তের নির্দেশ তুলে দিয়েছি। তবে তাদেরকে সামনে এ বিষয়গুলো ভালোভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে।”

এর আগে ১৮ এপ্রিল দিনের শুরুতেই ৯টি ব্রোকারেজ হাউজের এই ১৫ ট্রেডার বেশ কয়েকটি বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দাম না বসিয়েই বিক্রির আদেশ দেন। এতে এসব শেয়ার দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন দরে বিক্রি হয়।

এর নেতিবাচক প্রভাব ওইদিন দিনের শুরুতেই সূচকে পড়ে বলে বিএসইসি জানিয়েছিল। নিয়ন্ত্রক সংস্থার পর্যবেক্ষণে পরে তা ধরা পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

ডিএসইর যেসব হাউসে এ ঘটনা ঘটেছিল সেগুলো হল- আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি, পার্কওয়ে সিকিউরিটিজ, কাইয়ুম সিকিউরিটিজ, রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস, শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, টিএখান সিকিউরিটিজ, জেকেসি সিকিউরিটিজ ও কাজী ইক্যুইটিজ।   

পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে যারা শেয়ার কেনাবেচার কাজ করেন তারা ট্রেডার হিসেবে পরিচিত। সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী, ট্রেডারদের বলা হয় অথরাইজড রিপ্রেজেনটেটিভ বা অনুমোদিত প্রতিনিধি।