পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংককে আনুষ্ঠানকিভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে পুঁজিবাজারে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের প্রাধান্য বেশি। মোট বিনিয়োগের ৮০ শতাংশই তাদের। অথচ প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেশি হওয়া উচিত ছিল। পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যক্তির চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে লেনদেনে প্রাধান্য থাকা উচিত ছিল।
এমন প্রেক্ষাপটে বিশেষ তহবিল গঠনের সুবিধা নেওয়াসহ ব্যাংকগুলোকে বাজারে বিনিয়োগের অনুরোধ জানানো হয়েছে কমিশনের চিঠিতে।
পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে তাদের বর্তমান বিনিয়োগের তথ্য বিএসইসিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।
২০২০ সালের শুরুর দিকে বড় পতন হলে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ছয় দফা নির্দেশনার আলোকে প্রতিটি ব্যাংককে কিছু শর্তে ২০০ কোটি টাকার ‘বিশেষ তহবিল’ গঠনের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিশেষ তহবিলের আওতায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা অর্থ ব্যাংকের ‘এক্সপোজার’ হিসেবে গণ্য করা হবে না বলে ওই নির্দেশনায় বলা হয়।
ব্যাংকগুলো নিজস্ব অর্থে এ তহবিল গঠন করতে পারবে, কিংবা ট্রেজারি বিল বা ট্রেজারি বন্ড রেপোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তহবিল গঠন করতে পারবে।
ইচ্ছে করলে প্রথমে নিজেদের অর্থে তহবিল গঠন করে পরে বিল বা রেপোর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ওই পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো রেগুলেটরি মূলধনের ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। ব্যাংকের এ বিনিয়োগসীমার মধ্যে ব্যাংকের ধারণ করা সব ধরনের শেয়ার, ডিবেঞ্চার, করপোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নির্দেশনাপত্রের বাজারমূল্য ধরে মোট বিনিয়োগ হিসাব করা হয়।
২০০ কোটি টাকার ‘বিশেষ তহবিল’ গঠনের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা এই বিনিয়োগ সীমার বাইরে থাকবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়, যা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।