মঙ্গলবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ বিষয়ে সাত নির্দেশনা দিয়েছে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং অনেকগুলোর গ্রাহক হিসাবে অনিয়ম পেয়েছে ডিএসই ও বিএসইসি।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্রোকারেজ হাউজের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতির পাশাপাশি ডিপজিটরি অংশগ্রহণকারী হিসেবে গ্রাহকদের সিকিউরিটিজে ঘাটতি পাওয়া গেলে সেগুলোকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) ব্যবস্থা নিতে বলেছে বিএসইসি।
বিনিয়োগকারীর টাকা ও শেয়ারের ঘাটতি পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত সুযোগ সুবিধা বন্ধ রেখে শাস্তি বহাল থাকবে।
যেসব শাস্তি দেওয়া হবে
ব্রোকারেজ হাউজ মার্জিন ঋণের আওতায় যে ফ্রি লিমিট সুবিধা পায় সেটা স্থগিত করা হবে।
দোষী ব্রোকারেজ হাউজ তাদের স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানার লভ্যাংশ পাবে না।
দোষী ব্রোকারেজ হাউজ যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসেবে আইপিওতে যে সুবিধা পায় সেটি বন্ধ থাকবে।
তাদের সনদ নবায়ন স্থগিত করা হবে। নতুন শাখা খুলতে পারবে না।
ঘাটতি পূরণ করার পর এক বছর এসব হাউজকে তদারক করতে বলেছে বিএসইসি।
এছাড়া ঘাটতি পূরণ করার পর হাউজগুলোর সমন্বিত গ্রাহক হিসাব ও ডিপজিটারি অংশগ্রহণকারী হিসাব প্রতি মাসে দুবার খতিয়ে দেখতে বলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।