তবে আগের মতই একদিনে সর্বোচ্চ দর বাড়তে পারবে ১০ শতাংশ।
মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পরে এ বিষয়ে এক সার্কুলারে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
মঙ্গলবার বিএসইসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নিম্নমুখী সার্কিট ব্রেকার ২ শতাংশ করার কথা জানান কমিশনার শামসুদ্দিন।
তিনি তারল্য বাড়াতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল (সিএমএসএফ) থেকে ১০০ কোটি টাকা দ্রুত বিনিয়োগের কথাও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ জন্য সরকারি বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি কাজও শুরু করেছে বলে জানানো হয়।
এ দুই খবরে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের পতন আগের দিন সোমবারের মতো সেঞ্চুরি ছাড়ালেও দিনের মাঝামাঝি সময় থেকে তা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে।
এর আগে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর টানা দরপতনে পুঁজিবাজারে ধস নামলে ২০২০ সালের মার্চে ফ্লোরপ্রাইস নির্ধারণ এবং পরে নিম্নমুখী সার্কিট ব্রেকার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছিল। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে তা তুলে নেওয়া হয়।
সার্কিট ব্রেকারের আগের নিয়ম অনুযায়ী, ২০০ টাকার নিচে যে কোনো শেয়ার দিনে ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারে। এরপর ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, ২০০০ টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ এবং এর চেয়ে বেশি দরের শেয়ারের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারে।
ইউক্রেইনে যুদ্ধের জেরে সোমবার সকালে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেলে ঢাকার পুঁজিবাজারে ভর করে আতঙ্ক।
শেয়ার বিক্রির চাপে ডিএসইএক্স এক দিনেই ১৮২ দশমিক ১২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে যায়।
শতাংশের হিসাবে এটা ছিল গত ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন। লেনদেন হওয়া ৯৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়ে যায় সোমবার।
আগের দিনের মতোই মঙ্গলবার সকালেও বড় পতন চলছিল; এরপরই এ সিদ্ধান্ত এল।