৩০% শেয়ার ধারণ: শর্ত পূরণ হয়নি ২৪ কোম্পানির

উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে সম্মিলিতভাবে কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকার শর্ত এখনও পূরণ করতে পারেনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৪টি কোম্পানি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2022, 04:44 PM
Updated : 18 Jan 2022, 04:44 PM

পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সর্বশেষ গত ৬ ডিসেম্বর ২৫টি কোম্পানিকে ওই শর্ত পূরণের জন্য এক মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে কেবল একটি কোম্পানি তা করতে পেরেছে।

২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের পরের বছর উদ্যোক্তা পরিচালকদের মিলিতভাবে কোম্পানির সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করা হয়। স্বতন্ত্র পরিচালক ছাড়া অন্যদের প্রত্যেককে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ারধারণ করার শর্ত দেওয়া হয়।

পরে ২০১৯ সালের মে মাসে আইনে সম্পূরক সংযোজনী এনে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ না হলে শেয়ার বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া বা উপহার হিসেবে শেয়ার হস্তান্তর এবং বোনাস শেয়ার দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।

বর্তমান কমিশন এসে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ এবং প্রত্যেক পরিচালকের সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ারধারণের নিয়মের পক্ষে কঠোর অবস্থান নেয়।

ন্যূনতম দুই শতাংশ শেয়ারধারণের শর্ত পূরণ না করে পদে থাকায় নয়টি কোম্পানির ১৭ জন পরিচালককে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সরিয়ে দেওয়া হয়। উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণের শর্ত পূরণে ব্যর্থ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়।

এ আইনের প্রতিপালনে কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়। সবশেষ গত ৬ ডিসেম্বর আরও এক মাস সময় দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

এই সময়ের মধ্যে কেবল এডভেন্ট ফার্মার উদ্যোক্তা পরিচালকরা শেয়ার কিনে ৩০ শতাংশের শর্ত পূরণ করতে পেরেছেন।

১১টি কোম্পানি ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে আরও সময় চেয়েছে। পাঁচটি কোম্পানি তাদের অবস্থান নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জানিয়েছে। আটটি কোম্পানি নির্দেশ পরিপালন কবে করবে বা কেন করেনি সে বিষয়ে কোনো তথ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানায়নি।

বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তথ্যগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছি। পরে সিদ্ধান্ত নেব। সব প্রতিষ্ঠানের অবস্থা এক না। আমরা এমন কিছু করব না যাতে কোনো কোম্পানি বিপদে পরে যায়। আবার আমাদের বিনিয়োগকারীদের দিকটাও দেখতে হবে।”

সময় বাড়ানের আবেদন করা কোম্পানিগুলো হলো- অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিকেলস, অগ্নি সিস্টেমস, আলহাজ্জ টেক্সটাইল মিলস, অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, আজিজ পাইপস, ডেল্টা স্পিনার্স, ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ফু-ওয়াং ফুডস, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, ফার্মা এইডস ও সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফাইন ফুডস, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, কাট্টালি টেক্সটাইল ও সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ তাদের অবস্থান কমিশনকে জানিয়েছে।

আর সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস, ফ্যামিলিটেক্স বিডি, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স ও রতনপুর স্টিল রি-লোরিং মিলস (আরএসআরএম) কমিশনে কোনো তথ্য দেয়নি।

পুরনো খবর