লেনদেন ১৩০০ কোটি ছাড়াল, এক মাসে সর্বোচ্চ

বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বেড়ে সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলে লেনদেনও গতি পেয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে; আগের দিনের চেয়ে শেয়ার কেনাবেচা বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2022, 10:58 AM
Updated : 3 Jan 2022, 10:58 AM

পতনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে নতুন বছরের দ্বিতীয় কার্যদিবসে এ বাজারে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ৯২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের দিনের তুলনায় শতকরা হিসাবে ৪৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ৪১৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বেড়েছে।

এ লেনদেন প্রায় এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে এর চেয়ে বেশি শেয়ার কেনাবেচা হয় ৭ ডিসেম্বর। সেদিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ৩৩১ কোটি ৫ লাখ টাকা।

সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো সূচকে বড় উত্থানের দিকেই যাচ্ছিল ডিএসই। প্রথম এক ঘণ্টায় সূচক ৬০ পয়েন্ট বাড়ে। পরের তিন ঘণ্টাতেও ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রেখে সূচক আগের দিন থেকে ৫৮ পয়েন্ট বেশি ছিল।

তবে দীর্ঘ বিরতির পর অনেক শেয়ারের দর বাড়লে মুনাফা তুলে নেওয়ার চাপে পরে সূচক কিছুটা কমে গেলেও দিন শেষে ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক।

এদিন প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৮৮২ দশমিক ১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইর সূচকও বেড়েছে। এ বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১০২ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বা দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ১৫৭ দশমিক ১২ পয়েন্টে।

টানা পতনের মধ্যে থাকা বাজারে নতুন বছরের শুরুতেই হঠাৎ করে পরপর দুদিন দর বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হাসান বলেন, ডিসেম্বরে বিভিন্ন কারণে পুঁজিবাজারের উপর থাকা চাপ কমে যাওয়ার কারণেই এখন ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সূচক।

এছাড়া এক সঙ্গে তিনটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন চলছিল। সেটির প্রভাবও ছিল বাজারে।

তার মতে, বছরের শুরুতে একটি উদ্দীপনা কাজ করে, যা এর আগের বছরগুলোতেও দেখা গেছে। এসব মিলিয়েই বাজার ভালো করেছে।

সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৭৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ২৯৪টির এবং কমেছে ৬৪টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দর।

ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৪ দশমিক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৫১ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে।

ডিএস৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৫৭৬ দশমিক ১১ পয়েন্টে।

লেনদেনের শীর্ষ ১০

বেক্সিমকো লিঃ, বিএসসি, ফরচুন সুজ, পাওয়ার গ্রিড, পেনিনসুলা চিটাগাং, ডেল্টা লাইফ, বিকন ফার্মা, আইএফআইসি, সাইফ পাওয়ার ও জেনেক্স ইনফোসেস।

দাম বাড়ার শীর্ষ ১০

ই-জেনারেশন, ফার ইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, তৌফিকা ফুড, রিং শাইন, আমান ফিডস, আইসিবি এএমসিএল ৩য় এনআরবি মি. ফা., রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মি. ফা., নূরানী ডাইং, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মি. ফা. ও ফরচুন সুজ।

দাম হারানোর শীর্ষ ১০

সোনালী পেপার, এটলাস বাংলা, লিবরা ইনফিউশন, এএমসিএল (প্রাণ), ঢাকা ডাইং, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, বিকন ফার্মা, ডেফোডিল কম্পিউটার, জেনেক্স ইনফোসেস ও ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স।

এদিন চট্টগ্রামের বাজার সিএসইতে ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯০টির, কমেছে ৯২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির দর।

এ বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বা ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বেড়েছে।

মোট ২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ২৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা।