বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজারে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা দশমিক ১২ শতাংশ বেড়েছে।
দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার ৯০৬ দশমিক ৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
তবে ঢাকার বাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এদিন একহাজার ৬৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়, যা আগের কর্মদিবসে ছিল একহাজার ১৫৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
এই লেনদেন গত ৬ মাস সাত দিনের মধ্যে কম। এর আগে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল লেনদেন হয়েছিল ৯৪০ কোটি ৩২ লাখ।
বৃহস্পতিবার ডিএসইর ৫২ শতাংশ কোম্পানির দাম কমেছে। এর বিপরীতে ৩৫ শতাংশের দাম বেড়েছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনে থাকা ৩৭৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টির এবং কমেছে ১৯৫টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির দর।
বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৯০৬ দশমিক ৭১ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৬২ দশমিক ১৮ পয়েন্টে; ডিএস৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬০১ দশমিক ২৮ পয়েন্টে রয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষ ১০
বেক্সিমকো, এনআরবিসি ব্যাংক, বিএটিবিসি, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, অরিয়ন ফার্মা, আইএফআইসি ব্যাংক, আলিফ ম্যানুফেকচারিং, সাইফ পাওয়ার, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও বেক্সিমকো ফার্মা।
দাম বাড়ার তালিকায় শীর্ষ ১০ টি
সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০ টি কোম্পানি
কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রাইম টেক্সটাইল, জাহিন স্পিনিং, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার, এস আলম কোল্ড রোল, সাভার রিফ্র্যাক্টোরিজ, বিএসসিসিএল, নিউ লাইন ক্লোথিংস ও হাক্কানী পাল্প।
এদিন চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের সাথে লেনদেন বেড়েছে ।
এই বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১০ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ১৯৭ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে।
বৃহস্পতিবার এই বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৯ দশমিক ২৯ শতাংশ বা ২ কোটি ৯১ লাখ টাকা বেড়েছে।
এদিন মোট ৩৪ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৩১ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
সিএসইতে ২৭৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৫টির, কমেছে ১৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দর।