রোববার এক ভাচুর্য়াল অনুষ্ঠানে পরীক্ষামূলক লেনদেন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
এদিন বিভিন্ন মেয়াদি চারটি বন্ড লেনদেন হয়েছে।
এর আগে ১৬ বছর পর গত ১৪ অক্টোবর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সরকারি বন্ড লেনদেনের কার্যক্রম আবার চালু করা হয়। এ ধারাবাহিকতায় রোববার সিএসইতে ফের লেনদেন শুরু করা হয়। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেই পরীক্ষামূলকভাবে একদিনের জন্য লেনদেন করা হয়।
স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা জানান, উভয় এক্সচেঞ্জে নিয়মিত বন্ড লেনদেনের সব প্রস্তুতি শেষ হলে তা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
২০০৫ সালে দেশের পুঁজিবাজারে বন্ড বাজার চালু হলে ট্রেজারি ব্ন্ড তালিকাভুক্ত হতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত ২২২টি ট্রেজারি বন্ড তালিকাভুক্ত থাকলেও লেনদেন হয় না।
লেনদেন ফি ও এনবিআরের স্ট্যাম্প ফি এর পরিমাণ বেশি হওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতায় সরকারি এসব বন্ডের লেনদেন হচ্ছে না।
বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগে বৈচিত্র আনতে সরকারি বন্ড বাজার নতুনরূপে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেবে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে আবার বন্ড চালুর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
রোববার সিএসইতে ব্ন্ড লেনদেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কমিশনার শামসুদ্দিন বলেন, “বন্ড নিয়ে মানুষের অনেক দিনের চাহিদা ছিল, সরকারি বন্ডগুলোর জন্য যেন একটি সেকেন্ডারি মার্কেট থাকে। এখন সেই রাস্তা খুলছে।“
খুব দ্রুত পুরোপুরি লেনদেনে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম বলেন, “ডিএসইর পর আজ (রোববার) সিএসইতে ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু হল। এটা দেশের পুঁজিবাজারের জন্য একটি মাইলফলক। বিনিয়োগকারীরা অনেক দিন এর অপেক্ষায় ছিলেন।”
সরকারি ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন পুরোদমে শুরু হলে বাজারের গভীরতা অনেক বেড়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এতে একটি ভালো বন্ড বাজার গড়ে উঠবে। এটি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে।
অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়, বিএসইসি, সিএসই, বাংলাদেশ ব্যাংক,
বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।