শুক্রবার চার্টার্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট (সিএফএ) সোসাইটি বাংলাদেশের এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রধান।
দেশের পুঁজিবাজার বড় হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী এক বছরে ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান চালাতে তিন হাজার ২০০ জনের মতো দক্ষ লোক লাগবে, কিন্তু বাংলাদেশের সেই জনবল নেই।”
তিনি জানান, নতুন ব্রোকারেজ লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে এবং নতুন মার্চেন্ট ব্যাংকসহ নতুন নতুন মিউচুয়াল ফান্ডেরও অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
নতুন এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করার মতো দক্ষ কর্মী নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “বিদেশ থেকে এসে আমাদের কাছে ব্রোকারেজ হাউসের লাইসেন্স চাওয়া হচ্ছে, মার্চেন্ট ব্যাংকের লাইসেন্স চাওয়া হচ্ছে।”
আরও আবেদন পড়ছে জানিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা সবাইকে দিয়ে দিচ্ছি, কিন্তু আমি জানি না কোথায় তারা দক্ষ লোক পাবে। আমি খুবই চিন্তিত বিষয়টি নিয়ে।”
শিবলী রুবাইয়াত বলেন, “আমরা যে নতুন ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে কাজ করারঅনুমতি দিয়েছি তারা সবাই যদি তিনজন করে লোক নেয় ৩০০ লোক লাগবে। এই লোকগুলো কোথায়?
“আমাদের কাছে মানুষ বলে তাদের লোক দরকার আমরা দিতে পারি না, কাকে বলব? কোথা থেকে পাব? আমাদের দেশে দক্ষ লোকের বড় ধরনের অভাব রয়েছে।”
শুক্রবার এ অনুষ্ঠানে দক্ষ সম্পদ ব্যবস্থাপক তৈরিতে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি চার্টার্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট (সিএফএ) কোর্সের অধীনে ২৯ জন নতুন অ্যানালিস্টকে সনদ দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশের পুঁজিবাজারের জন্য দক্ষ জনবল তৈরিতে অবদান রাখায় সিএফএ সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান।