ডিএসইতে আড়াই মাসের সর্বনিম্ন লেনদেন

নিম্নমুখী সূচক নিয়ে সপ্তাহ শেষ করেছে ঢাকার পুঁজিবাজার, লেনদেন কমে এসেছে আড়াই মাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2021, 12:14 PM
Updated : 14 Oct 2021, 12:14 PM

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ কমে ৭ হাজার ২৪৩ দশমিক ২৭ পয়েন্ট হয়েছে।

এ সপ্তাহে রোববার বাদে বাকি চার দিনই সূচক কমেছে ঢাকার বাজারে। সোম থেকে বৃহস্পতি- এই চার দিনে সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার এ বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ২৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ বা ৫১৯ কোটি ১১ লাখ টাকা কমেছে।

এদিন সব মিলিয়ে ১ হাজার ৪৩৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কর্মদিবসে ১ হাজার ৯৫২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ছিল।

এর আগে এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল গত ২৮ জুলাই। সেদিন ১ হাজার ৩৬০ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।

এ সপ্তাহের পাঁচ দিনই লেনদেন ছিল ২ হাজার কোটি টাকার নিচে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সূচক অনেক বেড়ে গিয়েছিল। মানুষ এখন বেশি দামে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে মুনাফা তুলে নিচ্ছে। তাই শেয়ারের দাম কমে যাচ্ছে।”

ডিএসাইতে এদিন ৫৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে ১১৪টির দর বেড়েছে, ২১৯টির কমেছে এবং ৪৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হাসান বলেন, “পৃথিবীর সব পুঁজিবাজারেই দেখা যায় যখন শেয়ারের দাম কমতে থাকে তখন লেনদেন কমে যায়।

“এর মধ্যে অনেক শেয়ারের দাম বেশি আছে। সেগুলো কমে যাচ্ছে, মূল্য সংশোধন হচ্ছে। মানুষ শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে মুনাফা তুলে নিচ্ছে। সব মিলিয়ে শেয়ারের দাম কমছে। লেনদেন কমে গেছে।”

ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক  দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৬৭ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট হয়েছে। আর ডিএস৩০ সূচক ১ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭১৯ দশমিক ১৪ পয়েন্ট।

লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি: ফরচুন সুজ, বেক্সিমকো লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক, অরিয়ন ফার্মা, এনআরবিসি ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পাওয়ার গ্রিড, বিএটিবিসি ও জেনেক্স ইনফোসিস।

দাম বাড়ার তালিকায় শীর্ষ ১০ কোম্পানি: আলিফ ম্যানুফেকচারিং, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, দেশবন্ধু পলিমার, ফরচুন সুজ, বিডি ল্যাম্পস, এনআরবিসি ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, তৌফিকা ফুড অ্যান্ড লাভেলো আইস্ক্রিম, শাইনপুকুর সিরামিক্স ও শাহজিবাজার পাওয়ার।

সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০ কোম্পানি: এইচ আর টেক্সটাইল, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, ন্যাশনাল হাউজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, আরএসআরএম স্টিল, এফএএস ফাইন্যান্স, অ্যাপেক্স ফুড, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, ডেফোডিল কম্পিউটার ও আমান কটন।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সিএএসপিআই এদিন ৬৭ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে ২১ হাজার ১১৬ দশমিক ৭২ পয়েন্ট হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এ বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ২৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ১৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা কমেছে।

এদিন মোট ৪৬ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ৬১ কোটি ৫১ লাখ টাকা ছিল।

সিএসইতে ২৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৯০টির দর বেড়েছে, ১৭৯টির কমেছে এবং ২৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।