মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে জানানো হয়, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য এই লভ্যাংশ প্রস্তাব করেছে।
এ নিয়ে এনভয় টেক্সটাইল ২০২০-২১ অর্থ বছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিল। এর আগে তারা ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল, সেটা বিনিয়োগকারীরা পেয়ে গেছেন।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ১৫ নভেম্বর।
সেখানে অনুমোদন পেলে এনভয় টেক্সটাইলের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ৫০ পয়াসা করে পাবেন।
লভ্যাংশের খবরের পর এ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। সোমবার ঢাকার পুঁজিবাজারে এনভয় টেক্সটাইলের শেয়ার ৪৩ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল; মঙ্গলবার শেয়ারের দামে কমে ৪৩ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
২০২১ অর্থবছরে এনভয় টেক্সটাইল শেয়ার প্রতি ৫৬ পয়সা মুনাফা করে। তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ৩৭ টাকা ৭৯ পয়সা। শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ঋণাত্বক ২ টাকা ২৫ পয়সা।
২০১৯-২০ অর্থবছরে এনভয় টেক্সটাইল ২৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা।
শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ এবং মুনাফা কেন কমেছে তার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছে এনভয় টেক্সটাইল।
তারা জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে তাদের আয় আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ বেড়েছিল। কিন্তু তুলার দাম বাড়ায় তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়, ফলে মুনাফা বাড়ানো যায়নি।
শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ বাড়ার কারণ ব্যাখ্যায় এনভয় টেক্সটাইল বলেছে, তাদের কিছু এলসি এখোনো ভাঙানোর সময় আসেনি, তাই সেই টাকা নগদ প্রবাহে যোগ হয়নি।
আর বিভিন্ন সরবরাহকারীর পাওনা ৪৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা শোধ করায় আয় বাড়লেও নগদ প্রবাহ ঋণাত্বক হয়েছে বলে এনভয় টেক্সটাইল জানিয়েছে।