সোমবার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) আয়োজিত বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের ভাচুর্য়াল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো ‘রেগুলেটরি মূলধনের’ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে।
এ বিনিয়োগসীমার মধ্যে ব্যাংকের ধারণ করা সব ধরনের শেয়ার, ডিবেঞ্চার, করপোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নির্দেশনাপত্রের বাজারমূল্য অর্ন্তভূক্ত করে হিসাব করা হয়।
ব্যাংকগুলো করপোরেট বন্ডের বড় বিনিয়োগকারী মন্তব্য করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বন্ড বাজারকে বড় করতে হবে। কিন্তু বন্ডে বিনিয়োগ যদি পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার মধ্যে ধরা হয়, তাহলে বন্ড বাজারকে বড় করা যাবে না।
“দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে ব্যাংকগুলো বন্ডে যে বিনিয়োগ করবে, সেটা পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাবে ধরা থেকে বাদ দিতে হবে।”
উন্নয়ন কার্যক্রমে অনেক টাকা লাগবে উল্লেখ করে অধ্যাপক শিবলী বলেন, “এসব টাকা ব্যাংক দিতে পারবে না। বন্ড থেকে আসতে হবে। আবার বন্ডগুলো যদি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা না যায় তাহলে হস্তান্তর যোগ্যতা থাকে না।
“আর হস্তান্তর যোগ্যতা না থাকলে বন্ডে বিনিয়োগ আসবে না। বন্ডে বিনিয়োগ না আসলে বন্ড বাজারকে বড় করা যাবে না।”
ব্যাংকগুলোর অভিভাবক বাংলাদেশ ব্যাংককে এ বিষয়ে ভেবে দেখার তাগিদ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএপিএলসি এর সভাপতি আজম জে চৌধুরী।
এবার ৪ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উদযাপনকালে পুঁজিবাজার নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এবারের মূল প্রতিপাদ্য- টেকসই অর্থায়ন এবং আর্থিক প্রতারণা-কেলেঙ্কারি প্রতিরোধ।