বুধবার বিকালে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের নীল সমুদ্র আছে। এই সাগর কিন্তু একটি উৎপাদনশীল বিষয়। এখানে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা পরিবেশবান্ধব গ্রিন বন্ডের অনুমোদন দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্লু বন্ডের অনুমোদন দেওয়ার সুযোগ পাইনি।
“যেহেতু চট্টগ্রামেই সমুদ্র আছে, আশা করতে পারি হয়ত কিছু দিনের মধ্যেই কোনো পরিবেশবান্ধব ব্লু বন্ড সিএসইর মাধ্যমে পাব।”
পুঁজিবাজারকে আরও নিরাপদ করতে বন্ডসহ অন্যান্য বিনিয়োগ উপযোগী পণ্য আনা হবে বলে জানান তিনি।
শেখ শামসুদ্দিন বলেন, “দেশের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা সাধারণত শেয়ারে বিনিয়োগ করে থাকেন। বিশ্বের অন্যান্য পুঁজিবাজারে পাঁচ ভাগের এক ভাগ থাকে ইকুইটি শেয়ার। কিন্তু আমাদের এখানে ইকুইটি শেয়ার বেশি।
“আমাদের নতুন নতুন বন্ড ডেরিভেটিভ যোগ করতে হবে। এটা করতে পারলে বিনিয়োগকারীরা আরও নিরাপদ হবেন।”
এসময় বিনিয়োগ শিক্ষা নিতে বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করার জন্য ব্রোকারেজ হাউসগুলোর প্রতি আহবান জানান তিনি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম।
বিশ্বের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন (আইওএসসিও) এর সদস্য হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ পালন করে আসছে বিএসইসি।
এবার ৪ থেকে ১২ অক্টোবর এ সপ্তাহ উদযাপনকালে পুঁজিবাজার নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
এবারের বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য, টেকসই অর্থায়ন এবং আর্থিক প্রতারণা-কেলেঙ্কারি ঠেকানো।