ঋণের দায় নিয়ে সমঝোতার খবর অস্বীকার এমারেল্ড অয়েলের

এমারেল্ড অয়েলের ৩০ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে দুটি ব্যাংকের কাছে থাকা তার ঋণের দায় জাপানি সাবসিডিয়ারি মিনোরি বাংলাদেশ নেবে বলে যে খবর বের হয়েছে, তা অস্বীকার করেছে কোম্পানি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2021, 02:05 PM
Updated : 27 Sept 2021, 02:05 PM

এমারেল্ড অয়েলের পক্ষ থেকে জানানো তথ্যটি সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২২ সেপ্টেম্বর ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য বিজনেজ স্ট্যান্ডার্ড’ BASIC, Bank Asia extend hands to receive Emerald Oilশিরোনামে যে খবর প্রকাশ করেছে, তা ভিত্তিহীন। কোম্পানির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছাড়া তা প্রকাশ করা হয়েছে।

চার বছর ধরে বন্ধ থাকা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে খাদ্য খাতের কোম্পানিটির যক্রম চালু করতে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এরপর ১৩ জুলাই জাপানি কোম্পানির বাংলাদেশি সাবসিডিয়ারি মিনোরি বাংলাদেশের পরিচালক আফজালকে এমারেল্ড অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়।

এছাড়া ১ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদন শুরু হবে বলেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। তবে অগাস্টে কোম্পানিটি জানায়, নির্ধারিত সময়ে উত্পাদনে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সম্প্রতি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এক প্রতিবেদনে জানায়, এমারেল্ড অয়েলের দুটি ব্যাংকে যে ঋণ আছে সেটার আসল পরিশোধ করবে মিনোরি বাংলাদেশ। বিনিময়ে এমারেল্ড অয়েলের ৩০ শতাংশের মালিক হয়ে যাবে। এর আগে সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে এমারেল্ড অয়েলের ৮ শতাংশর বেশি শেয়ার কিনেছে মিনোরি বাংলাদেশ।

জানতে চাইলে আফজাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ব্যাংকের সাথে আমাদের কোনো নেগোসিয়েশন হয় নাই। অথচ সেখানে লেখা হয়েছে, নেগোসিয়েশন হয়েছে।”

তিনি বলেন, ব্যাংক আগের পরিচালকদের ঋণের দায় থেকে মুক্তি দিতে চাচ্ছে না। আর দায়মুক্তি না দিলে আগের পরিচালকরা শেয়ার হস্তান্তর করতে চান না।

এটা নিয়ে আমরা ব্যাংকে চিঠি ‍দিয়েছি যে তাদেরকে যে পারসোনাল গ্যারান্টিমুক্ত করা যায় কিনা। ব্যাংক এখনো আমাদের কিছু জানায়নি।”

কোম্পানিটি চালের ভুষি বা (রাইস ব্র্যান) থেকে তেল বানায় এবং ডিওআরবি তৈরি করে।

চালের ভুষি থেকে তেল বের করে ফেলার পর অনেকটা উপজাত হিসেবে ডিওআরবি থাকে, যা মাছের বা মুরগির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির তিন বছর পরই কোম্পানিটির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেসিক ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি জড়িয়ে জেলে যান। পরে জামিন নিয়ে দেশের বাইরে চলে গেছেন।

পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির ৫৯ কোটি ৭১ লাখ ৩ হাজার ৫০০টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৯ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার আছে।

এমারেল্ড অয়েল এর বর্তমান বাজার মূলধন ২৪৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন: