রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েসবাইটে জানানো হয়, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১ অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ প্রস্তাব করেছে।
আগামী ৫ ডিসেম্বর সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ২৪ অক্টোবর।
সেখানে অনুমোদন পেলে সামিট পাওয়ারের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ৩ টাকা ৫০ পয়াসা করে পাবেন।
লভ্যাংশের খবরের পর এ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। রোববার ঢাকার পুঁজিবাজারে সামিট পাওয়ারের শেয়ার ৪৬ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল; সোমবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে শেয়ারের দামে বেড়ে ৪৬ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল।
২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০২১ অর্থবছরে সামিট পাওয়ার শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ২৫ পয়সা মুনাফা করে। তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ৩৪ টাকা ৪৫ পয়সা। শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ৮ টাকা ৫৩ পয়সা।
তার আগের অর্থবছর তাদের শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ৫ টাকা ১৭ পয়সা। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ৯ টাকা ৪২ পয়সা।
২০২০ অর্থবছরে সামিট পাওয়ার ৫৫২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৫০ পয়সা।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ১০৬ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৯টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ২১ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১৯ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার আছে।
সামিট পাওয়ারের বর্তমান বাজার মূলধন ৪ হাজার ৯৬৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৭৭১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
সামিট পাওয়ারের মদনগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ
বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড সামিট পাওয়ারের মদনগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুত কিনত। গত মার্চ মাসে সেই চুক্তি শেষ হয়ে গেছে।
চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় আপতত মদনগঞ্জের ১০২ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ। মদনগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট কাজ শুরু করেছিল ২০১১ সালে।