তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বলে বেসরকারি ব্যাংকটির কোম্পানি সচিব মোকাদ্দেস আলী মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
এক মাস আগেই আমজাদকে নিয়ে তদন্তের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক। দুদকে অভিযোগ এসেছে, দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে ‘বিপুল পরিমাণ অর্থ’ আত্মসাত করেছেন আমজাদ।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাউথ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদে আছেন খুলনা অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী লকপুর গ্রুপের মালিক আমজাদ। সম্প্রতি ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
মোকাদ্দেস আলী বলেন, “আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব মেইলের মাধ্যমে একটি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। কারণ হিসেবে বলেছেন যে তিনি অসুস্থ। যত দ্রুত সম্ভব তার একজন উত্তরসূরি নির্বাচন করতে তিনি পর্ষদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
“পর্ষদ এই ফর্মালিটিজটা শেষ করলে তিনি নতুন চেয়ারম্যানের কাছে দায়িত্বটা বুঝিয়ে দেবেন। এখন পর্ষদ যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবেই সব কিছু হবে।”
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গত ৯ মে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন দেয় সাউথ বাংলা ব্যাংককে (এসবিএসি)।
ব্যাংকের আইপিও প্রসপেক্টাসের তথ্যে দেখা যায়, আমজাদ আইপিও পরবর্তী ব্যাংকটিতে ২ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারের মালিক। তার স্ত্রী সুফিয়া আমজাদ ব্যাংকের একজন পরিচালক। তিনি আইপিও পরবর্তী ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক। তাদের মেয়েও পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। তিনি আইপিও পরবর্তী দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক।
এই পরিবারের তিনজন মিলে ব্যাংকটির মোট ৬ দশমিক ২ শতাংশ শেয়ারের মালিক।
পুঁজিবাজারে ব্যাংকটির ৭৮ কোটি ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫১৭টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৭৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের বর্তমান বাজার মূলধন ১ হাজার ৬৪৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৭৮৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ২৪৬ কোটি ২ লাখ টাকা।
আমজাদের লকপুর গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- লকপুর ফিশ প্রসেস কোম্পানি লিমিটেড, বাগেরহাট সিফুড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, শম্পা আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড, রূপসা ফিশ অ্যান্ড অ্যালাইড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, মুনস্টার ফিশ লিমিটেড, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, খুলনা এগ্রো এক্সপোর্ট প্রাইভেড লিমিটেড, ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেড, মেট্রা অটো ব্রিকস লিমিটেড, খুলনা বিল্ডার্স লিমিটেড ইত্যাদি।