পুঁজিবাজারে ওটিসি মার্কেট বন্ধ

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ‘ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি)’ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2021, 07:32 PM
Updated : 16 Sept 2021, 07:32 PM

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশের দুই পুঁজিবাজারে যে ওটিসি মার্কেট ছিল, সেটাকে অকার্যকর করা হয়েছে।”

২০০৯ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ওটিসি মার্কেট চালু হয়েছিল।

বাংলাদেশের মূল পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত কোম্পানির এবং অতালিকাভুক্ত শেয়ার লেনদেন করার জন্য ওটিসি মার্কেট চালু হয়।

বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬১টি এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ৪৭টি কোম্পানি ওটিসিতে তালিকাভুক্ত আছে। কোনো কোনো কোম্পানি দুই পুঁজিবাজারেই তালিকাভুক্ত আছে।

রেজাউল বলেন, ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত ২৩টি কোম্পানিকে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে পাঠানো হয়েছে। ১৮টি কোম্পানিকে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) পাঠানো হয়েছে। বাকি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজার থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে।

যেসব কোম্পানি ওটিসি মার্কেট থেকে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে এবং অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) পাঠানো হবে তাদেরকে বলা হয়েছে এক মাসের মধ্যে তাদের শেয়ার ডিমেট করে ফেলতে।

রেজাউল বলেন, “২৯টি কোম্পানিকে পুঁজিবাজার থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে বিএসইসির এক্সিট প্ল্যান এর নোটিফিকেশন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।”

অর্থাৎ এই কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজার থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।

ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওটিসি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশে যেভাবে ওটিসি মার্কেট ব্যবহার হত, সেটা ভুল।

“পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ওটিসি মার্কেট ব্যবহার হয় যেসব কোম্পানির শেয়ার তালিকাভুক্ত নয়, সেগুলো লেনদেন করতে। কিন্তু বাংলোদেশে ওটিসি মার্কেট ব্যবহার হত একটা ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসেবে।”

যে ২৩ কোম্পানি যাচ্ছে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে

এপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিল্‌স লিমিটেড, বাংলাদেশ হোটেলস লিমিটেড, বেঙ্গল বিস্কুট লিমিটেড, গচিহাটা এ্যাকুয়াকালচার ফার্মস লিমিটেড, হিমাদ্রী লিমিটেড, ওয়ান্ডার ল্যান্ড টয়েস লিমিটেড, ইউসুফ ফ্লাওয়ার মিলস লি,আল-আমিন ক্যামিক্যাল উন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড, আলফা ট্যোবাকো ম্যানুফেকচারিং কোং লিমিটেড, আমাম সি ফুড্‌স লিমিটেড, আশ্রাফ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ ইলেকট্রিক মিটার কোং লিমিটেড, বাংলাদেশ লিফ টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড, বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস লিমিটেড, বায়োনিক সি ফুডস লিমিটেড, ঢাকা ফিশারিজ লিমিটেড, এক্সেলসিয়র সুজ লিমিটেড, লেক্সকো লিমিটেড, মেঘনা স্রীমস কালচার লিমিটেড, রাজপিত ডাটা ম্যানেজমেন্ট এন্ড কমিউনিকেট লিমিটেড, রাঙ্গামাটি ফুডস প্রডাক্টস লিমিটেড, থেরাপিউটিকস লিমিটেড এবং জাগো কর্পোরেশন।  

যে ১৮ কোম্পানি যাচ্ছে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে

বাংলা প্রসেস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড, ড্যান্ডি ডাইং লিমিটেড, ডায়নামিক টেক্সটাইল ইন্ডা; লিমিটেড, মেটালেক্স কর্পোরেশন লিমিটেড, মিতা টেক্সটাইলস লিমিটেড, মর্ডান সিমেন্ট লিমিটেড, মোনা ফুডস প্রোডাক্টস লিমিটেড, পারফিউম কেমিক্যালস ইন্ডা লিমিটেড, পেট্রো সিন্থেকিট প্রডাক্ট, ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, কাসেম সিল্ক মিলস লিমিটেড, কাসেম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, রাজপিত ইন্ক বাংলাদেশ লিমিটেড, রোজ হ্যাভেন বল পেন লিমিটেড, সালেহ কার্পেট মিলস লিমিটেড, শ্রীপুর টেক্সটাইলস লিমিটেড এবং ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজ।

পুঁজিবাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার তালিকায় যারা

আরবি টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, আজাদী প্রিন্টার্স লিমিটেড, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড, বাংলাদেশ ডাইং এ্যান্ড ফিনিসিং ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড, বাংলাদেশ লাগেজ ইন্ডা: লিমিটেড, বাংলাদেশ জিপার ইন্ডা: লিমিটেড, চিক টেক্স লিমিটেড, ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, জার্মান বাংলা জে,ভি, ফুডস লিমিটেড, গালফ ফুডস লিমিটেড, হিল প্লানটেশন লিমিটেড, যশোর সিমেনট, এম. হোসেন গার্মেন্টস ওয়াশিং এন্ড ডাইং লিমিটেড, ম্যাক এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড, ম্যাক পেপার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড, ফনিক্স লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড, দি ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেড, টিউলিপ ডেইরী এন্ড ফুডস প্রেডাক্টস লিমিটেড, পদ্মা প্রিন্টার্স এন্ড কালার লিমিটেড, বাংলাদেশ প্লানটেশন লিমিটেড, খাজা মোজাইক, ন্যাশনাল অক্সিজেন, প্যারাগন লেদার, জিইএম নিট ওয়ার, জিএমজি ইন্ডাস্ট্রিজ, জে এইচ ক্যামিক্যাল, মেঘনা ভেজিটেবল অয়েল, মার্ক বাংলাদেশ এভং রুপন অয়েল।