পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সময় বাড়ানোর বিষয়টি জানিয়ে সোমবার বেক্সিমকোকে চিঠি পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো বেক্সিমকোকে সুকুক বন্ড ছেড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এই তিন হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৫০ শতাংশ বা ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে তোলা হবে।
৭৫০ কোটি টাকা বা ২৫ শতাংশ পাবেন বেক্সিমকো লিমিটেডের বর্তমান শেয়ারহোল্ডাররা। বাকি ৭৫০ কোটি টাকা বা ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিক্রি করে তোলা হবে।
পুঁজিবাজার থেকে যে ৭৫০ কোটি টাকা তোলা হবে, তার সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিল বেক্সিমকো।
পাবলিক অফারে ছাড়া ৭৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য ১৬ অগাস্ট আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় ২৩ অগাস্ট। ওই সময়ে বন্ডটির জন্য ৭১ জন আবেদন করেন। এই ৭১ জন ৭৫০ কোটি টাকার ৭ দশমিক ৪০ শতাংশের জন্য আবেদন করেন।
এর পরে বেক্সিমকো আবেদন করে সময় আরও ১০ কার্যদিবস বাড়িয়ে নেয়।
সেই সময় সোমবার শেষ হয়। কিন্তু বাড়তি ১০ দিন সময়ে মাত্র একজন বিনিয়োগকারী আবেদন করেন।
এই ৭২ জন বিনিয়োগকারী মোট ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ৫৫০টি বন্ডের জন্য আবেদন করে। টাকার অঙ্কে যার মূল্য ৫৫ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এই অঙ্ক ৭৫০ কোটি টাকার ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
ডেবট সিকিউরিটি রুলের ১২ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো বন্ড আইপিওর মাধ্যমে ছাড়া হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কম করে হলেও ৩০ শতাংশ আবেদন আসতে হবে।
নিয়মে আরও বলা হয়েছে, যদি বন্ডটি আন্ডার রাইটাররা ২০ শতাংশ কিনতে চায় এবং তারপরও যদি মোট আবেদন ৫০ শতাংশের নিচে থাকে, তাহলে বন্ডটি বাতিল হবে।
বেক্সিমকোর গ্রিন সুকুক বন্ডে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আবেদন যেহেতু মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ, তাতে তা এখন বাতিল হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, এই দফায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্য থেকে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ আবেদন জমা না পড়ে, তাহলে এই বন্ডের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবে না বেক্সিমকো।
তবে এই আইনটি বাকি ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকার মধ্যে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেক্সিমকো প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে তুলবে।