ডিএসইতে লেনদেন ৩ হাজার কোটির কাছাকাছি

দিনের প্রথমভাগে প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে দর সংশোধনের ইঙ্গিত থাকলেও আধা ঘণ্টা পরই বিক্রির চেয়ে শেয়ার কেনার চাহিদা বেড়ে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হলে বদলে যায় দরপতনের চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2021, 02:17 PM
Updated : 6 Sept 2021, 02:17 PM

সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের লেনদেন শেষে ৭ হাজারের মাইলফলক পেরোনো প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট বেড়েছে। আগের কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় লেনদেনও বেড়ে তিন হাজার কোটি টাকার অনেক কাছাকাছি পৌঁছেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ- ডিএসই এর পাশাপাশি সূচক বেড়েছে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ- সিএসইতেও। এই বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৯৯ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ৬৬২ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে।

সোমবার লেনদেনের শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিন থেকে ৭ পয়েন্ট কমে যায়। সাত হাজার পয়েন্টের মাইলফলকে পৌঁছানোর পরদিন বাজার কোন দিকে যাবে সেই মনস্তাত্বিক ভীতি থেকে এবং চাঙ্গা বাজারে অনেকে মুনাফা তুলে নিতে শুরু করলে সূচক নিম্নমুখী হয়ে পড়ে।

তবে পরের আধা ঘণ্টায় বড় মূলধনী কিছু শেয়ারের দাম বাড়লে এবং কেনার চাহিদা বাড়লে হারানো পয়েন্ট ফিরে পায় সূচক। এরপর ওঠানামা দেখা গেলেও আর কখনও নিম্নমুখী হয়নি সূচক।

দিন শেষে ডিএসইএক্স আগের দিন থেকে ২২ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়ে ৭ হাজার ৭৫ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ডিএসইএক্স গণনা শুরুর পর সোমবার তা সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল।

সূচকের মত সোমবার ডিএসইর বাজার মূলধনও বেড়ে ৫ লাখ ৭১ হাজার ৮৮৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে প্রতিদিনই বাজার মূলধনের রেকর্ড হচ্ছে।

এদিন এই বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ১৬ শতাংশ বা ৩৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৯০১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা হয়েছে। আগের কর্মদিবসে শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

সোমবার এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩৬৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৪টির এবং কমেছে ১৮৪টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির দর।

ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৫৩৬ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্টে।

ডিএস৩০ সূচক ১২ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৫৪৬ দশমিক ৬২ পয়েন্টে।

লেনদেনের শীর্ষ ১০টি কোম্পানি

বেক্সিমকো লিঃ, সাইফ পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা,  লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ডোরিন পাওয়ার, বিএটিবিসি, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, ইস্টার্ন হাউজিং ও শাহজিবাজার পাওয়ার।

দাম বাড়ার তালিকায় শীর্ষ ১০টি কোম্পানি

এডিএন টেলিকম, ইস্টার্ন হাউজিং, তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, এনভয় টেক্সটাইল, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, শাশা ডেনিমস, বাটা সুজ, ফার্মা এইডস, ডোরিন পাওয়ার।

সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানি

ডোমিনেজ স্টিল, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ফাইন ফুডস, ইমাম বাটন, মেঘনা পেট, অ্যাপেক্স ফুড, উসমানিয়া গ্লাস ও জেমিনী সি ফুডস।

এদিন চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার সিএসইতে ৩১৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির দর।

সূচক বাড়লেও এ বাজারে লেনদেনও আগের দিনের তুলনায় ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ বা ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা কমে মোট ৮৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন যা ছিল ৯৫ কোটি ২০ লাখ টাকা।