রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি।
এর মধ্যে মূলধন বাড়াতে শাহ্জালাল ইসলামী ৫০০ কোটি এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ বন্ড ছেড়ে তুলবে ৮০০ কোটি টাকা।
আর আর্থিক প্রতিষ্ঠান লংকা বাংলা ফাইন্যান্স তুলবে ৩০০ কোটি।
লংকা বাংলা ফাইন্যান্স
লংকা বাংলা ফাইন্যান্স বন্ড ছেড়ে তোলা টাকা দিয়ে করপোরেট খাতে অর্থায়নের পাশাপাশি রিটেইল ও এসএমই খাতে ঋণ দেবে।
বন্ডের প্রতি লটের দাম হবে ৫৩ লাখ ৬ হাজার ৭৪৩ টাকা। সুদের হার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ।
জিরো কুপন বন্ডটি হবে নন-কনভার্টেবল বন্ড অর্থাৎ বন্ডটিকে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে না।
একই সঙ্গে এটি হবে আনসিকিউরড অর্থাৎ বন্ডটি ছাড়তে কোনো জামানত দিতে হবে না।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে আছে আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড। ইস্যু ম্যানেজারের কাজ করছে গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক বন্ড ছেড়ে তোলা ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে মূলধন শক্তিশালী করবে।
এই বন্ডের কুপন হার হবে ৬ থেকে ১০ শতাংশ।
পার্পেচুয়াল এই বন্ড হবে কনটিনজেন্ট-কনভার্টেবল বন্ড অর্থাৎ শর্ত সাপেক্ষে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে।
একই সঙ্গে এটি হবে আনসিকিউরড অর্থাৎ বন্ডটি ছাড়তে কোনো জামানত দিতে হবে না।
৫০০ কোটি টাকার মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে তোলা হবে। বাকি ৫০ কোটি টাকা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করে সংগ্রহ করা হবে।
প্রাইভেট প্লেসমেন্টের জন্য বন্ডের প্রতি লটের দাম ৫ কোটি টাকা।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ হাজার টাকা।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে আছে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং
ইস্যু ম্যানেজারের কাজ করছে ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ
ইসলামী ব্যাংক বন্ড ছেড়ে উত্তোলন করা ৮০০ কোটি টাকা দিয়ে মূলধন বাড়াবে।
পার্পেচুয়াল এই বন্ড হবে কনটিনজেন্ট-কনভার্টেবল অর্থাৎ শর্ত সাপেক্ষে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে।
একই সঙ্গে এটি হবে আনসিকিউরড অর্থাৎ বন্ডটি ছাড়তে কোনো জামানত দিতে হবে না।
অনুমোদন পাওয়া ৮০০ কোটি টাকার মধ্যে ৭২০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে তোলা হবে। বাকি ৮০ কোটি টাকা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করে সংগ্রহ করা হবে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে আছে এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং ইস্যু ম্যানেজারের কাজ করছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।