পুঁজিবাজারে বিশেষ তহবিল: মাসিকভিত্তিতে জানাতে হবে ব্যাংকের বিনিয়োগ তথ্য

পুঁজিবাজারে বিশেষ তহবিল থেকে বিনিয়োগের তথ্য ব্যাংকগুলোকে মাসিকভিত্তিতে জানাতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2021, 05:11 PM
Updated : 31 August 2021, 05:13 PM

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এক সার্কুলারে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রতি মাস শেষ হলে পরবর্তী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট ছক  অনুসারে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব ও বিও হিসাব/হিসাবগুলোর বিবরণীসহ সব তথ্য অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের জমা দিতে হবে।

এক্ষেত্রে ঋণদানকারী ব্যাংক ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করবে এবং তা সমন্বিত আকারে ছকে সংযোজন করে অনলাইনে জমা দেবে।

এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট ছক তৈরি করে পাঠিয়েছে ব্যাংকগুলোতে।

গত বছরের শুরুর দিকে পুঁজিবাজারের বড় পতন হলে বাজারের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ছয় দফা নির্দেশনার আলোকে প্রতিটি ব্যাংককে কিছু শর্তে ২০০ কোটি টাকার ‘বিশেষ তহবিল’ গঠন করার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিশেষ তহবিলের আওতায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা অর্থ ব্যাংকের এক্সপোজার হিসেবে গণ্য করা হবে না।

ব্যাংকগুলো নিজস্ব অর্থে এই তহবিল গঠন করতে পারবে। একই সঙ্গে ট্রেজারি বিল/ট্রেজারি বন্ড রেপোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তহবিল গঠন করতে পারবে যে কোনো ব্যাংক।

ইচ্ছে করলে প্রথমে নিজেদের অর্থে তহবিল গঠন করে পরবর্তীতেও ট্রেজারি বিল/ট্রেজারি বন্ড রেপোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ওই পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা যাবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো রেগুলেটরি মূলধনের ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। ব্যাংকের এ বিনিয়োগসীমার মধ্যে ব্যাংকের ধারণ করা সব ধরনের শেয়ার, ডিবেঞ্চার, করপোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নির্দেশনাপত্রের বাজারমূল্য ধরে মোট বিনিয়োগ হিসাব করা হয়।

২০০ কোটি টাকার যে ‘বিশেষ তহবিল’ গঠনের যে সুযোগ দেওয়া হয় তা এই বিনিয়োগ সীমার বাইরে থাকবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।

এই সুবিধা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।