মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিন থেকে ৩৮ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৭৮৭ দশমিক ১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ডিএসইএক্স গণনা শুরুর পর এই সূচক সর্বোচ্চ।
এর আগে ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ডিজিএন। ২০১০ সালের ধসের আগে সেটি সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৯১৮ দশমিক ৫১ পয়েন্টে ওঠে। ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই ডিজিএন গণনা বন্ধ হয়।
মঙ্গলবার ডিএসইর বাজার মূলধনেও রেকর্ড হয়েছে।
এদিন ডিএসই বাজার মূলধন হয়েছে ৫ লাখ ৫১ হাজার ২৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, যা ডিএসইর ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার এই বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ২৮০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কমেছে।
ঢাকায় এদিন ২ হাজার ৬৭৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ২ হাজার ৯৫৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
আগের দিন সোমবার ডিএসইতে ২ হাজার ৯৫৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল এই লেনদেন ছিল গত ১০ বছর আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজারে ৫১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক দশমিক ২০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৬৯ দশমিক শূণ্য ৩ পয়েন্টে।
ডিএস৩০ সূচক ৫ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ৪২২ দশমিক ১৮ পয়েন্টে।
লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি: বেক্সিমকো লিঃ, আইএফআইসি ব্যাংক লিঃ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল হাউজিং, এবি ব্যংক লিঃ, অরিয়ন ফার্মা, কেয়া কসমেটিকস, রিং শাইন টেক্সটাইল, জিবিবি পাওয়ার ও ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক লিঃ।
দাম বাড়ার তালিকায় শীর্ষ ১০ কোম্পানি: ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক লিঃ, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, জিবিবি পাওয়ার, স্টাইল ক্র্যাফট, এসবিএসি ব্যাংক লিঃ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিঃ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ব্যাংক লিঃ ও পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০ কোম্পানি: তাল্লু স্পিনিং, মিথুন নিটিং, নূরানী ডাইং, অ্যাপলো ইস্পাত, জেনারেশন নেক্সট, ডেল্টা স্পিনার্স, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, উসমানিয়া গ্লাস, রিজেন্ট টেক্সটাইল ও ইসলামিক ফাইন্যান্স।
এদিন চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও সূচক বেড়েছে।
এই বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১১৮ দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৭৬৮ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে।
মঙ্গলবার এই বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ বা ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা কমেছে।
মোট ১০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ১১৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।
সিএসইতে ৩২৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির, কমেছে ১৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির দর।