এদিন সূচকেও বড় উত্থান হয়েছে দেশের প্রধান এই পুঁজিবাজারে। এখন সূচক বাড়লেই এই বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রতিদিন নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়।
সেই ধাবারাবাহিকতায় সোমবার ৪৯ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে এই সূচক পৌঁছেছে ৬ হাজার ৭৪৮ দশমিক ৯২ পয়েন্টে।
এদিন চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। এই বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৩৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৬৫০ দশমিক ১৩ পয়েন্টে।
এই লেনদেন গত ১০ বছর আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে এরচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর। সেদিন লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২৪৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইর বাজার মূলধনও বেড়ে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
সোমবার এই বাজারে ৫৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩৭৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৪টির এবং কমেছে ১৪৬টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দর।
ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৯ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৬৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে।
লেনদেনের শীর্ষ ১০টি কোম্পানি
বেক্সিমকো লিঃ, আইএফআইসি ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সাইফ পাওয়ার, মালেক স্পিনিং, কেয়া কসমেটিকস, ইসলামিক ফাইন্যান্স, বিডি ফাইন্যান্স, ড্রাগন সোয়েটার ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।
দাম বাড়ার শীর্ষ ১০টি কোম্পানি
ন্যাশনাল হাউজিং, স্টাইল ক্রাফট, এসবিএসি ব্যাংক, জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, খুলনা পাওয়ার, সাফকো স্পিনিং, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স, ড্রাগন সোয়েটার, জাহিন স্পিনিং ও রিং শাইন টেক্সটাইল।
সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানি
সোনালী পেপার, প্রগ্রেসিভ লাইফ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনালী লাইফ, রহিমা ফুড, প্রগতী ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, সিএপিএম আইবিবিএল মিঃ ফাঃ, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স ও কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ।
অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় বাজার সিএসইতে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ২৯ দশমিক ২২ শতাংশ বা ২৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা বেড়েছে। মোট ১১৬ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৮৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
সিএসইতে ৩২০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭০টির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির দর।