এ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
কোম্পানিগুলো হলি: পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত পেপার প্রোসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, বিবিধ খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড, বস্ত্র খাতের ঢাকা ডাইং, সিরামিক খাতের ফু-ওয়াং সিরামিক, ওষুধ খাতের বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রকৌশল খাতের আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জ্বালানি খাতের জিবিবি পাওয়ার, খাদ্য খাতের এমারেল্ড অয়েল এবং বীমা খাতের বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স।
মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, হঠাত্ করে এসব শেয়ারের মুনাফা বেড়ে যাওয়ায় এবং দাম বেড়ে ‘অযৌক্তিক’ পর্যায়ে পৌঁছানোর কারণেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
“আমাদের পক্ষ থেকে নিয়মিত পুঁজিবাজারের উপর নজর রাখা হয়। নিয়মিত নজরদারিতে দেখা যায় কয়েকটি কোম্পানির মুনাফা হঠাত্ বেড়ে গেছে। কয়েকটি বন্ধ কোম্পানি নতুন করে উত্পাদন শুরু করার খবর দিয়েছে। কিছু কোম্পানির দাম অনেক বেড়ে গেছে, দাম বেড়ে যে অবস্থায় গেছে, সেটা ঠিক যৌক্তিক দাম নয়।”
চার সদস্যের এই তদন্ত কমিটি ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, “আমরা ঠিক করেছি, এই নয়টি কোম্পানির বিষয়ে গভীর তদন্ত হবে। তদন্ত কমিটি দেখবে, এখানে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা।”
এসব কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে কোনো সমস্যা আছে কি না, শেয়ারের দাম বৃদ্ধিতে কোনো কারসাজি অথবা মিথ্যা তথ্য দিয়ে দাম বাড়ানো হয়েছে কিনা- তা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “অনেক সময় দেখা যায়, পুঁজিবাজারের যারা বড় বিনিয়োগকারী তারা শেয়ারের দাম বাড়াতে কোম্পানির ভেতরের লোকদের হাত করে মিথ্যা ইতিবাচক তথ্য তৈরি করে। মিথ্যা ইতিবাচক তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়।
“শেয়ারের দাম বাড়ার পর সেই সব বিনিয়োগকারীর যে মুনাফা হয়, তা কোম্পানির ভেতরের লোকের সাথে ভাগাভাগি করে। এখানে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে।”