কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের এপ্রিল-জুন মেয়াদের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ম্যারিকোর হিসাব বছর শুরু হয় এপ্রিলে।
লভ্যাংশের জন্য রেকর্ড ডেট ঠিক ধরা হয়েছে ১৮ অগাস্ট।
বিনিয়োগকারীদের বার্ষিক সাধারণ সায় অনুমোদন পেলে ম্যারিকোর ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ২০ টাকা করে পাবেন।
প্রথম প্রান্তিকে ম্যারিকোর মুনাফা বেড়েছে। এপ্রিল-জুন সময়ে কোম্পানি প্রতি শেয়ারে ৩৪ টাকা ২৯ পয়সা মুনাফা দেখিয়েছে, যা আগের বছর এই সময় ছিল ৩১ টাকা ৬৪ পয়সা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ২ টাকা ৬৫ পয়সা বেড়েছে।
লভ্যাংশ দেওয়ার খবরের মধ্যে মঙ্গলবার ম্যারিকোর শেয়ারের দাম বেড়েছে। সোমবার ঢাকার পুঁজিবাজারে ২ হাজার ৩৯৬ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল, মঙ্গলবার তা বেড়ে ৫ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে ২ হাজার ৩৯১ টাকা লেনদেন হয়।
২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে মারিকো বাংলাদেশ মুনাফা করেছিল ২৬৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছে প্রতি ৯৫ টাকা বা ৯৫০ শতাংশ।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৩ কোটি ১৫ লাখ শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২ শতাংশ শেয়ার আছে।
ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের বর্তমান বজার মূলধন ৭ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৮৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা।