অন্তবর্তীকালীন ১২৫% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা জিপির

গ্রামীণফোন চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2021, 11:34 AM
Updated : 15 July 2021, 01:00 PM

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে মোবাইল ফোন অপারেটরটির ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই তিন মাসে শেয়ারপ্রতি আয়- ইপিএস অর্থাৎ প্রতি শেয়ারে মুনাফা হয়েছে ৬ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের বছর এই সময়ে ছিল ৫ টাকা ৩৮ পয়সা।

তবে জানুয়ারি-জুন ছয় মাসে ইপিএস কমে হয়েছে ১২ টাকা ৮৯ পয়সা, যা আগের বছর এই সময় ছিল ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।

অন্তর্বতীকালীন এই লভ্যাংশ ঘোষণায় গ্রামীণফোনের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের জন্য বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ১২ টাকা করে পাবেন।

তবে এই লভ্যাংশ নিতে হলে রেকর্ড ডেট ৯ অগাস্ট পর্যন্ত শেয়ার ধারণ করতে হবে।

লভ্যাংশ ঘোষণার খবরের মধ্যে বৃহস্পতিবার দিন শেষে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ১ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে সর্বশেষ ৩৫৬ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়।

এদিকে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে অপারেটরটির নগদ প্রবাহ বেড়ে ২১ টাকা ৮৮ পয়সা হয়েছে, যা আগে ছিল ৬ টাকা ১৩ পয়সা।

এ সময় প্রতি শেয়ারে সম্পদ মূল্য হয়েছে ৩৬ টাকা ৯৮ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩৮ টাকা ৫৯ পয়সা।

এদিকে বৃহস্পতিবার গ্রামীণফোন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুন দ্বিতীয় প্রান্তিকে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ের তুলনায় যা ৮ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

অপারেটরটি একই সময়ে ১৩ লাখ নতুন গ্রাহক নেটওয়ার্কে যুক্ত করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে মোট গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২০ লাখ যার মধ্যে ইন্টারনেট গ্রাহক ৪ কোটি ৪৭ লাখ। অর্থাৎ মোট গ্রাহকের ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “গ্রাহক অভিজ্ঞতার মানোন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশনের উপর আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার কারণে আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহক গ্রামীণফোনের সেবা বেছে নিয়েছেন; এবং একই কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইন্টারনেট ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে।“

প্রথম প্রান্তিকে সব টাওয়ারে ফোরজি সেবা সম্প্রসারণ করার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২৩ লাখ ফোরজি গ্রাহক বেড়েছে যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।

“একই সময়ে ডিজিটাল রিজার্চ বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। কোভিড মহামারীর চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও গ্রামীণফোন ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আবার প্রবৃদ্ধিতে ফিরে এসেছে।”

গ্রামীণফোন ২০০৯ সালে ঢাকার পুঁজিবাজারে টেলিকম খাতে তালিকাভুক্ত হয়ে এখন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেনে রয়েছে।

কোম্পানির ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২টি শেয়ারের মধ্যে ৯০ শতাংশ আছে উদ্যোক্তাদের হাতে, ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে, ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ বিদেশিদের হাতে আছে এবং ২ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে আছে।

গ্রামীনফোণের বর্তমান বাজার মূলধন ৪৭ হাজার ৯৬২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৩ হাজার ১২১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।