বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়মিত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রথমবারের মত পুঁজিবাজারে ‘গ্রিন বন্ড’ ছেড়ে ১০০ কোটি টাকা তোলার অনুমতি পায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশন। এই প্রতিষ্ঠানটিকে চলতি বছর ৭ এপ্রিল অনুমোদন দেওয়া হয়।
বুধবার অনুমোদন পাওয়া এই ধরনের দ্বিতীয় বন্ড থেকে তোলা টাকা দিয়ে প্রাণ এগ্রো কোম্পানি তারল্য বাড়াবে এবং মূলধনের ভিত্তি শক্ত করবে ।
এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের দাম হবে ১০ লাখ টাকা। সুদের হার ৯ শতাংশ।
সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট ও স্বায়ত্তশাসিত করপোরেশন এই বন্ড কিনতে পারবে।
এটি নন কনভার্টেবল, অর্থাৎ বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে না। এই বন্ডের টাকা তুলতে কোনো জামানত জমা দেওয়া হয়নি।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে আছে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে আছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
বিএসইসি জানিয়েছে, এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্রিন বন্ড।
বৈশ্বিক পুঁজিবাজারের চর্চায় গ্রিন বন্ডের ক্ষেত্রেও অন্য বন্ডের মতোই মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীদের সুদ দিতে হয়।
এর সঙ্গে বাড়তি বন্ড ছাড়া কোম্পানিকে পরিবেশ উন্নয়নের জন্য কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূরণ করতে হয়।
এজন্য কোম্পানির বিশেষ সুবিধা পাওয়ার ঘটনা বিশ্বে খুবই কম। তবে পরিবেশ উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে বিনিয়োগকারীরা একই মানের সাধারণ বন্ডের চেয়ে এই বন্ড থেকে কম লাভ বা সুদে সন্তুষ্ট থাকে।