বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা (এসএমই) খাতের কোম্পানিটি ১০ টাকা দামে ১ কোটি ১০ লাখ শেয়ার বিক্রি করে পুঁজিবাজার থেকে ১১ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করবে।
এর আগে প্রথম ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা (এসএমই) খাতের প্রথম কোম্পানি হিসেবে আইপিও ছাড়ার অনুমোদ পায় নিয়ালকো অ্যালয়।
আইপিওর টাকা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, মূলধন বৃদ্ধি ও ইস্যু ব্যবস্থাপনার কজে ব্যয় করবে মোস্তফা মেটাল।
এই কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এনবিএল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও স্বদেশ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মোস্তফা মেটাল ২০১৬ সাল থেকে কাজ শুরু করেছে। ঢাকার অফিস বিজয় নগর, কারখানা রাজবাড়ীতে।
প্রতিষ্ঠানটি কাঠ এবং প্লাস্টিকের দরজা তৈরি করে থাকে। কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মামুন মুন্সি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা মুন্সি।
মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬৯ লাখ টাকা মুনাফা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৫ লাখ টাকা লোকসান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৯ লাখ টাকা মুনাফা এবং ২০২০-২১ সালের প্রথম ছয় মাসে ২৯ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।
অনুমোদনের সময় মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজকে তালিকাভুক্তির পরের তিন বছর বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে না দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে।
মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এই আইপিও প্রচলিত পাবলিক অফার নয় অর্থাৎ সব সাধারণ বিনিয়োগকারী এই শেয়ার কিনতে পারবেন না।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ সাধারণত ঝুঁকিপূর্ণ হয় বলে এতে সবার বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়নি।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়ম অনুযায়ী, শুধু যোগ্য বিনিয়োগকারী বা প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এমন শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
পাশাপাশি পুঁজিবাজারে যেসব দেশি বা বিদেশি ব্যক্তির বাজারমূল্যে অন্তত এক কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে, তারা মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের মতো এসএমই বোর্ডরে আইপিওতে বিনিয়োগ করতে পারবেন।