বেক্সিমকো অনুমোদন পেল প্রথম গ্রিন সুকুক বন্ড ছাড়ার

বেক্সিমকো লিমিটডকে শর্ত সাপেক্ষে গ্রিন সুকুক বন্ড ছেড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2021, 04:27 PM
Updated : 7 Sept 2021, 04:44 PM

বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

শর্তে বলা হয়েছে- বেক্সিকো লিমিটডকে অভিপ্রায়পত্র পাওয়ার পাঁচ কার‌্যদিবসের মধ্যে সুকুকের প্রস্তাবিত ট্রাস্টির নিবন্ধন সনদ এবং কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ট্রাস্টি-ডিডসহ চূড়ান্ত সাবস্ক্রিপশন এগ্রিমেন্ট জমা দিতে হবে।

৩ হাজার কোটি টাকার এই বন্ডের মেয়াদ হবে ৫ বছর। বন্ড হবে সিকিউর্ড এবং কনভার্টেবেল। অর্থাৎ এই টাকা তুলতে এর বিপরীতে সম্পদ জমা দেওয়া হয়েছে এবং এই বন্ড ভবিষ্যতে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে।    

সিকিউর্ড ও কনভার্টেবেল অথবা বন্ডটি অ্যাসেট ব্যাক গ্রিন সুকুক হিসেবে কাজ করবে।

বিএসইসি মুখপাত্র রেজাউল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বন্ডটি দুইভাবে কাজ করবে। যদি কোনো বিনিয়োগকারী চায় যে তার বিনিয়োগকরা বন্ড শেয়ারে রূপান্তর করতে সে পারবে অথবা সে যদি চায় প্রতি বছর মুনাফা নিয়ে এবং শেষে অভিহিতমূল্য ফেরত নিবে, সেটাও সম্ভব।”

বেক্সিকো লিমিটড বন্ডের এই ৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বস্ত্র খাতের ব্যবসা বাড়াবে। এছাড়া সরকার অনুমোদিত দুটো নবায়নযোগ্য বিদ্যুত্ উত্পাদন প্রকল্পে (তিস্তা সোলার এবং করতোয়া সোলার) ও পরিবেশ উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে।

প্রতিটে বন্ডের দাম হবে ১০০ টাকা নূন্যতম ৫০টি বন্ডে বিনিয়োগ করতে হবে। বন্ডটি থেকে প্রতি বছর সর্বনিম্ন ৯ শতাংশ সুদ পাওয়া যাবে।

এই ৩ হাজার কোটির মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকার বন্ড বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছে বিক্রি করা হবে। ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বন্ড অন্য বিনিয়োগকারীর কাছে বিক্রি করা হবে। বাকি ৭৫০ কোটি টাকা আইপিওর মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।  

এই বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে আছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ।

ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে আছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস এবং অগ্রণী ইকুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।