ব্যাংক-বীমা নিম্নমুখী, দর বেড়েছে বিদ্যুতের শেয়ারের

সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদ্যুৎ ছাড়া বাকি সব খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2021, 11:34 AM
Updated : 17 June 2021, 11:34 AM

বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমায় লেনদেনেও গতি ছিল কম। দিনভর শেয়ারদর ওঠানামার মধ্যে শেষ পর্যন্ত সূচক বেড়েছে একেবারে সামান্য।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিন থেকে মাত্র ১ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৫২ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বৃহস্পতিবারসহ সূচক টানা তৃতীয় দিন বাড়লেও আগের  দুদিনের হারানো ‍সূচক এখনও ফেরত পায়নি ডিএসইএক্স। 

সর্বশেষ তিনদিনে এই বাজারে মোট ৩৯ দশমিক ১৪ পয়েন্ট সূচক যোগ হয়েছে, যেখানে আগের দুদিন কমেছিল ৫৩ পয়েন্ট।  

ডিএসইতে লেনদেনও আগের দিনের তুলনায় ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ বা ২৬২ কোটি ৫২ লাখ টাকা কমে আবার দুই হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে গেছে।

বৃহস্পতিবার মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৪৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা শেয়ার, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ২ হাজার ১০৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

এদিন এই বাজারে দর হারিয়েছে ৬৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার।

লেনদেন হওয়া ৩৭২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৭টির এবং কমেছে ২৩৭টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দর।

বৃহস্পতিবার অনেক দিন পর একসঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বাড়তে দেখা গেছে। এই খাতের ৬৪ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে।

এর প্রভাবে এই খাতের শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণও বেড়েছে।

ডিএসইর মোট লেনদেনের মধ্যে ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের।

আগের কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও ব্যাংক খাতে নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। ৩৫ শতাংশ শেয়ারের দাম কমেছে। মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ ছিল এই খাতের।

ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ৬০ শতাংশ শেয়ারের দাম কমেছে। মোট লেনদেনে এই খাতের অংশ ছিল ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।

দরপতন থেকে বাদ যায়নি বীমা খাতও, দাম কমেছে ৭৪ শতাংশ শেয়ারের। তবে লেনদেনের দিক থেকে আধিপত্য ছিল এই খাতের; মোট লেনদেনের ২৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

আগের দিন বাড়লেও প্রকৌশল খাতে এদিন ৮১ শতাংশ শেয়ারের দাম কমেছে। মোট লেনদেনে এই খাতের হিস্যা ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এদিন ওষুধ ও বস্ত্র খাতের লেনদেন চিত্রও ছিল অন্য বড় খাতগুলোর মত। মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতায় বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কমে গেছে।

ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৯০ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে।

ডিএস৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৯৭ দশমিক শূণ্য ৬ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০টি কোম্পানি

বেক্সিমকো লিঃ, ন্যাশনাল ফিড মিল, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, অরিয়ন ফার্মা, ন্যাশনাল পলিমার, ফরচুন সুজ, সামিট পাওয়ার, কনফিডেন্স সিমেন্ট, পাওয়ার গ্রিড ও বিবিএস ক্যাবলস।

দাম বাড়ার শীর্ষ ১০টি কোম্পানি

সাফকো স্পিনিং, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ন্যাশনাল ফিড মিল, ডেল্টা লাইফ, পাওয়ার গ্রিড, কাট্টালি টেক্সটাইল, ডরিন পাওয়ার, ইস্কয়ার নিট কম্পোজিট, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ও ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স। 

দাম কমার শীর্ষ ১০টি কোম্পানি

ইনডেক্স এগ্রো, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, রানার অটোকারস, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, লুব-রেফ,  মীর আক্তার, কেয়া কসমেটিক্স ও ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও বেড়েছে সূচক।

এই বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৫৭০ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে।

বৃহস্পতিবার এই বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৩২ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ২৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বেড়েছে।

মোট ১০৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৭৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

সিএসইতে ৩০৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির দর।

আরও পড়ুন