বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এই তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
এই অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি বাংলাদেশের সাউথইস্ট ইউনিয়ন সিরামিক নামের একটি সিরামিক কারখানার ৭৫ শতাংশ শেয়ার কিনবে।
এসএস স্টিল জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ঋণ পতে তারা বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
কয়েকটি ব্যাংক এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান মিলে ৩০০ কোটি টাকার এই ঋণ দিচ্ছে, যেখানে এই ঋণের নেতৃত্ব দেবে দি সিটি ব্যাংক।
প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা মেয়াদি হিসেবে এবং ১০০ কোটি টাকা চলতি মূলধন (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল) হিসেবে ঋণ নেবে।
এসএস স্টিলের কোম্পানি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা মোট ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছি, যেটির লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে আছে দি সিটি ব্যাংক।”
লিড অ্যারেঞ্জার হচ্ছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান যারা বড় ঋণের ক্ষেত্রে মূল নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। বড় অঙ্কের ঋণগুলো সাধারণত কয়েকটি ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান মিলে দিয়ে থাকে। এতে একক প্রতিষ্ঠানের ওপর ঝুঁকি কমে যায়।
সাউথইস্ট ইউনিয়ন সিরামিক হচ্ছে চীন ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত একটি সিরামিক কারখানা।
খুলনায় অবস্থিত এই কারখানায় বছরে ৯ কোটি ৬৯ লাখ স্কয়ার ফুট সিরামিক উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।
এই কারখানা কেনার সিদ্ধান্ত গত জানুয়ারি মাসে জানিয়েছিল এসএস স্টিল। এর মধ্যে বিশেষ সভা করে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এই বিষয়ে অনুমোদনও নিয়েছে।
এই খবরে বুধবার এসএস স্টিলের শেয়ারের দাম ২০ পয়সা বেড়েছে। বুধবার শেয়ারটির ‘ক্লোজিং’ মূল্য ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা।
২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ক্যাটাগরিতে।
তালিকাভুক্তির বছরে কোম্পানি মুনাফা করেছিল ৫১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল।
২০২০ অর্থবছরে ৪৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা মুনাফা করে। সেখান থেকে বিনিয়োগকারীদের ৮ শতাংশ স্টক এবং ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়।
পুঁজিবাজারে এই কোম্পানির ৩০ কোটি ৪২ লাখ ৯০ শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৩৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৫ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার আছে।
এসএস স্টিলের বর্তমান বাজার মূলধন ৫২৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ১৮৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা।