কোনো শেয়ারের দাম কমার নতুন এ সিদ্ধান্ত রোববার থেকে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
কমশনের মুখপাত্র রেজাউল করিম শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন,“৬৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম দিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমতে পারবে। বাড়তে পারবে ১০ শতাংশ।”
বাজারে তারল্য বাড়াতে সাড়ে ১২ মাস পর গত বৃহস্পতিবার থেকে ৬৬ কোম্পানির সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
উভয় বাজারে ওইদিন বড় পতন হয়। এমন প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ ৬৬ কোম্পানির সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস আবার দেওয়ার জন্য আবেদন জানায়।
এরপর শনিবার বিএসইসি সার্কিট ব্রেকারের নতুন এ নিয়ম চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রথম দফায় ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়া শেয়ারগুলোর দর সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে। তবে সার্কিট ব্রেকারের ঊর্ধ্বমুখী সীমা আগের মতো ১০ শতাংশ থাকবে।
সার্কিট ব্রেকারের আগের নিয়ম অনুযায়ী, ২০০ টাকার নিচে যে কোনো শেয়ার দিনে ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারে। এরপর ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, ২০০০ টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ এবং ৫০০০ টাকার পরে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আতঙ্কের মধ্যে টানা দরপতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ দেশের পুঁজিবাজারে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ।
প্রায় সাড়ে ১২ মাস পরে বুধবার সেই সিদ্ধান্ত বদলে মোট তালিকাভুক্ত ৩৭৩টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে প্রথম ধাপে ৬৬টির সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয় কমিশন।
ওইদিন এগুলোর মধ্য নাভানা সিএনজি ছাড়া বাকি সব শেয়ারের দর কমে। এর মধ্যে অনেক শেয়ারের দর সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল।