লকডাউনে ব্যাংক চালু থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা

সরকারের পরিকল্পিত ‘কঠোর লকডাউনের’ মধ্যে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে কিনা তা জানা যাবে রোববার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2021, 08:48 AM
Updated : 10 April 2021, 08:48 AM

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার মুখপাত্র রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে ব্যাংক খোলা থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারেও লেনদেন চলবে।

অন্যদিকে ‘আসছে’ লকডাউনের মধ্যে ব্যাংক চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।

তিনি জানান, “সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হলে আগামীকালকে (রোববার) ব্যাংক খোলা বা বন্ধ থাকার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত জানাবে”।

সাধারণ ছুটিতে গতবছর দেশের পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও এ বছর লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকার সঙ্গে সমন্বয় রেখে দু'ঘণ্টা লেনদেন হচ্ছে পুঁজিবাজারে।

এরইমধ্যে আরো কঠোর করে নতুন লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সরকারের নীতি নির্ধারকরা।

আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

জরুরি সেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাসহ কঠোর লকডাউনের পরিকল্পনার কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ অতি দ্রুত বাড়তে থাকলে আবারও লকডাউন দেওয়া হতে পারে এমন গুজবে মার্চের শেষ সপ্তাহে পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন হয়।

লকডাউনের সময় লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই মূলত হাতে থাকা শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। পরে বিএসইসির পক্ষ থেকে কয়েক দফা বলা হয়, ব্যাংক চালু থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া চলমান লকডাউনের আগের দিনও সূচক কমে ১৮১ পয়েন্ট।

পরে এক সপ্তাহের প্রথম দফা এ লকডাউনে ব্যাংকে লেনদেন সময় নির্ধারণ করা হয় সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।

এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেন সময় আড়াই ঘন্টা কমিয়ে ১০টা থকে ১২টা পর্যন্ত করা হয়। একই সঙ্গে তারল্য বাড়াতে মার্জিন ঋণের সামী বাড়ায় কমিশন।

এ দুই সিদ্ধান্ত ইতিবাচকভাবেই নেন বিনিয়োগকারীরা। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকে সূচক।