ব্যাংকের লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ‘বাড়ছে’

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর জন্য নগদ ও বোনাস মিলে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার যে সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2021, 01:18 PM
Updated : 15 March 2021, 02:27 PM

ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও নগদ লভ্যাংশের সীমার অতিরিক্ত বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য জানান।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দুই নিয়ন্ত্রক সস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক হয়েছে।

“আমরা পুঁজিবাজারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। এই আলোচনায় ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ দেওয়ার ক্ষমতা ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে।”

পরে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সর্বোচ্চ সীমার (১৫ শতাংশ) অতিরিক্ত বোনাস শেয়ার সামর্থ্য অনুসারে ঘোষণা করতে পারবে।”

ব্যাংকের লভ্যাংশ সীমা বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে এবং ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্টিকরণ করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

ব্যাংকের জন্য লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ শতাংশ বেঁধে দিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন নীতিমালা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

করোনাভাইরাস মহামারীর সঙ্কটে ব্যাংকগুলো যাতে মুনাফা যথাসম্ভব অবণ্টিত রেখে মূলধন শক্তিশালী করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত তারল্য বজায় রাখতে পারে, সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কিন্তু এই সীমা বেঁধে দেওয়ার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দর হারাতে শুরু করলে পুঁজিবাজারের সূচকও নেতিবাচক অবস্থানে চলে যায়। এরপরই দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার বৈঠকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ঘোষণা আসে।

পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর যে পরিমাণ বিনিয়োগ করার কথা ছিল তা বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তাও তদারকি করার বিষয়ে সোমবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে বিএসইসির মুখপাত্র জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ব্যাংকগুলোর  ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ উৎসাহিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।”

মিউচুয়াল ফান্ডে উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের বিনিয়োগ সংক্রান্ত এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজার গণনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকৃত সিকিউরিটিজের বাজার মূল্যের পরিবর্তে ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে গণনা করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিরা আশ্বস্ত করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।