শনিবার রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক সংলাপে তিনি একথা বলেন।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা আশা করি, আগামী দুই বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে অনেক বড় পরিবর্তন দেখতে পাবেন। তখনই আমরা ‘শ্যালো ক্যাপিটাল মার্কেট’ থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।
“আগামী ২ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে অনেক বন্ড ট্রেড হবে, কমোডিটি মার্কেট তৈরি হবে, এসএমই মার্কেট নিয়ে কাজ হবে।”
অধ্যাপক শিবলী বলেন, “বাংলাদেশে সেকেন্ডারি মার্কেট নিয়েই সারাদিন অলোচনা হয়। কিন্তু সেকেন্ডারি মার্কেট বা শুধু ইকুইটি কিন্তু একটি পুঁজিবাজারের মূল কাজ নয়। দেশের অর্থনীতিকে অর্থের যোগান দেওয়া হচ্ছে পুঁজিবাজারের মূল কাজ।”
এবছর আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার তোলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাড়ে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে এই সামান্য মূলধন যোগান দিয়ে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগোতে পারবে না।
ব্যাংকের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে মূলধনের জন্য পুঁজিবাজারের উপর বাড়ানোর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “এখানে আমাদের পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে হবে, না হলে যারা ভাল ব্যবসা করছে তারা এগোতে পারবে না, দেশ এগোতে পারবে না।”
ব্যাংক এবং ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয় নিয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “সেখানে আমরা কীভাবে আরো সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করব। সেখানে লভ্যাংশের বিষয় গুলো নিয়েও আলোচনা হবে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।