কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২০ অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ প্রস্তাব করেছে।
আগামী ২৬ এপ্রিল সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ২৮ মার্চ।
সেখানে অনুমোদন পেলে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ১ টাকা ৫০ পয়সা করে পাবেন এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ১৫টি করে নতুন শেয়ার পাবেন।
বৃহস্পতিবারবার এ শেয়ার যেখানে ঢাকার পুঁজিবাজারে ৬২ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল, রোববার বেলা ১টায় তা ৬৬ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়।
২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০২০ অর্থ বছরে ডাচ বাংলা ব্যাংক শেয়ার প্রতি মুনাফা করেছে ১০ টাকা । এসময় তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ৫৮ টাকা ৬৫ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছে ৩১ টাকা ২২ পয়সা।
আগের বছর এই সময় তাদের শেয়ার প্রতি মুনাফা মূল্য ছিল ৭ টাকা ৮৯ পয়সা। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ৪৯ টাকা ৯০ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ঋণাত্মক ১১ টাকা ৬৮ পয়সা।
রোববার ডাচ বাংলা ব্যাংকের প্রাইস আর্নিং রেশিও বা পিই দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৪।
২০১৭ অর্থবছরে ডাচ বাংলা ব্যাংক মুনাফা করেছিল ২৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ।
২০১৮ অর্থবছরে ৪২০ কোটি ১৪ লাখ টাকা মুনাফা করে ডাচ বাংলা ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ১৫০টি শেয়ার লভ্যাংশ দেয়।
আর ২০১৯ অর্থবছরে এ কোম্পানি ৪৩৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা মুনাফা দেখিয়েছিল; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা এবং প্রতি ১০টি শেয়ারে একটি নতুন শেয়ার।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৫৫ কোটি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৮৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে দশমিক শূন ১ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার আছে।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের বর্তমান বাজার মূলধন ৩ হাজার ৪৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫৫০ কোটি টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা।