পুঁজিবাজারে খাদ্য খাতে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানি এবার বিনিয়োগকারীদের ৪৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে বলে জানিয়েছে।
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২০ অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ প্রস্তাব করেছে।
আগামী ২৯ এপ্রিল সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ২৩ মার্চ।
সেখানে অনুমোদন পেলে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ৪৪ টাকা করে পাবেন।
লভ্যাংশ এবং মুনাফার খবরে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের শেয়ারের দাম কমেছে।
রোববার এ শেয়ার যেখানে ঢাকার পুঁজিবাজারে ৩ হাজার ১৩৯ টাকায় লেনদেন হয়েছিল, কিন্তু সোমবার ১১টা ২০ মিনিটে এ শেয়ার ২ হাজার ৯৯৩ টাকায় লেনদেন হচ্ছিল।
২০২০ সালের জুন মাসে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশের ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৪৪টি শেয়ার ইউনিলিভার কিনে নেয়; তখন কোম্পানির নাম হয় ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার।
২০২০ অর্থবছরে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার শেয়ার প্রতি মুনাফা করেছে ৪৩ টাকা ৯৪ পয়সা। এসময় তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১২৩ টাকা ৮ পয়সা।
আগের বছর তাদের শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ৮১ টাকা ৮৩ পয়সা। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ১৩২ টাকা ১৪ পয়সা।
২০১৯ অর্থবছরে এ কোম্পানি মুনাফা করেছিল ৯৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৫৩ টাকা।
২০২০ সালে মুনাফা কমে হয়েছে ৫২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এর কারণ হিসেবে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে কাঁচমালের অভাব ছিল, ফলে বিক্রি কম হয়েছে। এছাড়া কাঁচামালের দামও বেড়ে গিয়েছিল।
২০১৭ অর্থবছরে এ কোম্পানি ৬৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল এবং লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৫৫ টাকা।
২০১৮ অর্থবছরে ৬৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা লোকসান করেছিল; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৫৩ টাকা ।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ১ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৯টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ ৫১ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪ শতাংশ শেয়ার আছে।
ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ারের বর্তমান বাজার মূলধন ৩ হাজার ৭৮১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি ৫ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ১৪৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা।