৪ কোম্পানির পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2021, 03:41 AM
Updated : 23 Feb 2021, 03:41 AM

সোমবার রাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।  

তিনি বলেন, “আমরা ‘জেড’ ক্যাটাগরির চার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

কোম্পানিগুলো হল ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, সিএনএ টেক্সটাইল, ফ্যামিলি টেক্স ও  এমারেল্ড অয়েল।

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ

পুঁজিবাজারে ভ্রমণ খাতে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বর্তমানে ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ২০১০ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।

এই কোম্পানির মাত্র ২ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে ৮৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সিএনএ টেক্সটাইল

পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত সিএনএ টেক্সটাইল। কোম্পানটি পুঁজিবাজারে ২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।

কোম্পানিটির ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে আছে ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ।

ফ্যামিলি টেক্স

পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত আছে ফ্যামিলি টেক্স। কোম্পানটি পুঁজিবাজারে ২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।

কোম্পানির মাত্র ৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ শেয়ার আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে আছে ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

এমারেল্ড অয়েল

পুঁজিবাজারে খাদ্য খাতে তালিকাভুক্ত আছে এমারেল্ড অয়েল। কোম্পানটি পুঁজিবাজারে ২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।

কোম্পানির ৩০ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে আছে ৫৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

‘রোডশো ভালো হয়েছে’

সোমবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসি চেয়াম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম দুবাইয়ের চার দিনব্যাপী রোডশোর বিষয়েও কথা বলেন।

তিনি বলেন, “দুবাইয়ের বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ে চার দিনব্যাপী রোডশো খুবই ভালো হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের উন্নয়নের আসল চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এর ফলে অনেক লাভ হয়েছে। অনেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

“বিশ্বের অন্যান্য দেশে এখন সুদের হার খু্বই কম। বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর মুনাফা করার ক্ষমতা বাইরের বড় বড় বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করেছে।”

তিনি বলেন, “আমরা আশা করতে পারি আগামী এক দুই বছরে বাংলাদেশ খুব কম সুদে অনেক টাকা বিনিয়োগ পাবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সে অনিয়ম পেয়ে সেখানে প্রশাসক বসিয়েছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে হয়রানি করা হচ্ছে।

পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সেখানে বিএসইসির পক্ষ থেকে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আরও বলেন, আগামী ২০২১- ২২ সালের বাজেটকে সামনে রেখে পুঁজিবাজার উন্নয়নে ৮টি প্রস্তাব দেওয়া হবে।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর হারের পার্থক্য ১৫ শতাংশ করা, বাংলাদেশের বন্ড মার্কেটেকে উন্নত করতে বিভিন্ন কর ছাড় দেওয়া।