মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকটি।
ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ১২ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা তুলতে চায় এনআরবিসি ব্যাংক। প্রতিটি শেয়ারের দাম ১০ টাকা।
১২০ কোটি টাকা শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে ৬০ শতাংশ বা ৭২ কোটি টাকার শেয়ার। বাকি ৪০ শতাংশ শেয়ার পাবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ার বরাদ্দ পেতে ৩ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন সংগ্রহ করা হয়।
বাংলাদেশি সাধারণ জণগণ, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে বরাদ্দকৃত ৭২ কোটি টাকার শেয়ার পেতে ৫৯৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা জমা পড়ে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, “দীর্ঘ এক যুগ পর কোনো ব্যাংক পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হচ্ছে। শেয়ার পাওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ আবেদন জমা পড়েছে। আমরা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অক্ষুণ্ন রাখব।”
আগামী ৩ মার্চ আইপিও লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গত ১৮ নভেম্বর এনআরবিসি ব্যাংককে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয়।
আইপিওর মাধ্যমে তোলা অর্থ সরকারি সিকিউরটিজ ক্রয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও খাতে ব্যয় করবে ব্যাংকটি।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ২০১৫ সালে ৫৬ কোটি টাকা, ২০১৬ সালে ৮৭ কোটি টাকা, ২০১৭ সালে ৯৩ কোটি টাকা, ২০১৮ সালে ৯ কোটি টাকা এবং ২০১৯ সালে ১১৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে।
২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল কাজ শুরু করে।
ব্যাংকটির আইপিওর ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড এবং এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩১তম ব্যাংক হল এনআরবিসি ব্যাংক। এর আগে ২০০৮ সালে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।