লভ্যাংশ না দেওয়ার খবরের পর বড় দরপতন রবির

দেশে টেলিযোগাযোগ খাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানি রবি আজিয়াটা বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এ কোম্পানির শেয়ারের বড় দরপতন হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2021, 06:55 AM
Updated : 16 Feb 2021, 07:50 AM

মঙ্গলবার ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতে আগের দিনের ৪৬ টাকা থেকে রবির শেয়ারের দাম নেমে আসে ৩৯ টাকায়।

এরপর কিছুটা বেড়ে বেলা পৌনে ১২টার দিকে রবির শেয়ার লেনদেন হচ্ছিল ৪১ টাকা ৩০ পয়সায়, যা আগের দিনের তুলনায় ১০ দশমিক ২২ শতাংশ কম।

গত বছরের শেষ দিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এটাই রবির শেয়ার দরে সবচেয়ে বড় পতন।

এর আগে ১৮ জানুয়ারি রবির শেয়ারের দাম ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল।

১০ টাকায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলেও রবির শেয়ার প্রথম ১৫ দিনে টানা ৬০১ শতাংশ বেড়ে ৭০ টাকা ১০ পয়সা হয়ে গিয়েছিল।

পরে তা কমে আসে। 

মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত ঢাকার পুঁজিবাজারে রবির মোট ১ কোটি ৪১ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। টাকার অংকে যার মূল্য ৫৮ কোটি ৫১ লাখ।

রবির ওয়েবসাইটে সোমবার পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত ২০২০ সালের আর্থিক বিবরণীর যে সংক্ষিপ্তসার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে কোনো লভ্যাংশ প্রস্তাব করা হয়নি।

অথচ ২০২০ সালে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে হয়েছে ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর ৪ পয়সা ছিল। সে হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ৭২৫ শতাংশ।

রবির এমন সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিস্ময় সৃষ্টি করে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার ব্যাখ্যা জানতে রবির কর্মকর্তাদের মঙ্গলবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) ডাকা হয়।

চতুর্থ প্রান্তিকের আর্থিক বিবরণী নিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল রবি কর্মকর্তাদের। সেখানে রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।

কিন্তু বিএসইসি রবির কর্মকর্তাদের ডাকার পর সোমবার রাতে সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের সময় পরিবর্তন করে বিকাল ৩টায় তা করার কথা জানায় রবির পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান।

২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এন’ ক্যাটাগরিতে।

২০২০ অর্থ বছরে রবি শেয়ার প্রতি মুনাফা করেছে ৩৩ পয়সা। এসময় তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা।তাদের শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৩৬ পয়সা।

আগের বছর এই সময় তাদের শেয়ারে প্রতি মুনাফা মূল্য ছিল ৪ পয়সা। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১২ টাকা ৬৪ পয়সা। তাদের শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ৬ টাকা ১০ পয়সা।