উড়তে থাকা রবি লভ্যাংশ দেবে না

আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি ৭০০ শতাংশের বেশি মুনাফা হলেও বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর রবি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2021, 03:16 PM
Updated : 15 Feb 2021, 04:30 PM

সোমবার কোম্পানির ওয়েবসাইটে পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত ২০২০ সালের আর্থিক বিবরণীর যে সংক্ষিপ্তসার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে কোনো লভ্যাংশ প্রস্তাব করা হয়নি।

২১ মার্চ রবি আজিয়াটার সাধারণ সভায় আর্থিক বিবরণীর অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ৮ মার্চ। অনুমোদন পেলে বিনিয়োগকারীরা কোনো লভ্যাংশ পাবেন না। সাধারণত পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত সাধারণ সভায় পাল্টায় না।

ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে রবি আজিয়াটার শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর ছিল মাত্র ৪ পয়সা। সে হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ৭২৫ শতাংশ।

৩৩ পয়সা ইপিএস ধরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবারের বাজার দরের ভিত্তিতে রবির পিই রেশিও (মুনাফা অনুপাতে দাম) হয়েছে ১৩৯ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট, যেখানে গ্রামীণফোনের পিই রেশিও মাত্র ১৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট।

সাধারণভাবে পিই রেশিও ২০ এর বেশি হলেই শেয়ারটির দামকে তুলনামূলকভাবে বেশি ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

গতবছরের শেষে বাজারে আসা রবির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এন’ ক্যাটাগরিতে। তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এ কোম্পানির ১০ টাকার শেয়ারের দাম টানা ১৫ দিনে ৬০১ শতাংশ বেড়ে ৭০ টাকা ১০ পয়সায় উঠে। পরে আবার তা কমে যায়।  

সোমবার এ শেয়ারের দাম আগের দিনের চেয়ে চার টাকা বেড়ে ৪৬ টাকায় লেনদেন হয়। এদিন রবির এক কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৮ শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার মোট মূল্য ৪৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

সোমবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গতবছর রবির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা, যা তার আগের বছর ছিল ১২ টাকা ৬৪ পয়সা। তবে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে ৫ টাকা ৩৬ পয়সা হয়েছে।

রবি আইপিও থেকে মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা তহবিল সংগ্রহ করতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ছাড়ে।

এর মধ্যে রবি কর্মীদের কাছে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার বিক্রি করে ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকা তুলেছে।

বাকি ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার মধ্যে ১৫৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯ হাজার ৬০০ টাকা বরাদ্দ ছিল যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য। বাকিটা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য।

পুঁজিবাজারে রবির ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৫টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৯০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।

এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার আছে।

রবির বাজার মূলধন ২১ হাজার ৯৯৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ২৩৬ কোটি ২ লাখ টাকা।