বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মার্কেট সার্ভেইলেন্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান আইন কর্মকর্তাকে ওই নির্দেশনা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।
বিএসইসির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সামছুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে চারটি ক্ষেত্রের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো ঘটলে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে তদন্ত করতে হবে।
যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম গত ৩০ কার্যদিবস অথবা তার কম সময়ে ৫০ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে অথবা কমে গেছে, তদন্ত করে এর কারণ বের করতে হবে।
৪৫ দিনের মধ্যে সেই তদন্ত প্রতিবেদন বিএসইসিকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে।
তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির শেয়ার প্রতি মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বা তার বেশি বেড়েছে, সেসব ক্ষেত্রেও তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে।
গত এক মাসে যেসব কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন আগের ৬ মাসের গড় লেনদেনের তুলনায় ৫ গুণ বা তার বেশি বেড়েছে, তারও কারণ খুঁজে বের করতে বলেছে বিএসইসি।
এছাড়া যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং লেনদেন তাদের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের ১০ কার্যদিবস আগে থেকেই ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে বা কমেছে, তার তদন্ত করতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, এই চার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ‘কারসাজি’ হয়েছে কিনা, তা বের করতে হবে।
গত কিছুদিন ধরেই শেয়ারবাজারের সূচকে ঊর্ধ্বগতি চলছে। কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। এর মধ্যে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারও রয়েছে।
মঙ্গলবারও ঢাকার শেয়ার বাজারে মূল্য সূচক ও লেনদেনের পরিমাণে বড় উল্লম্ফন ঘটেছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক দিনেই ১৪২ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮৬১ পয়েন্টে পৌঁছেছে, যা প্রায় সাড়ে ২৩ মাসের মধ্যে বেশি।