সোমবার আজিজ পাইপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাঁচামাল সঙ্কটে তারা রোববার থেকে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। কাঁচামালের দাম কমলে আবার উৎপাদন শুরু হবে।
আজিজ পাইপস ইউপিভিসি পাইপ, ইউপিভিসি দরজা ও ইউপিভিসি জানালা তৈরি করে থাকে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কোম্পানিটি জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কাঁচামাল পিভিসির সরবরাহ সময়মতো আসেনি, আবার তাদের নিজেদের কাছেও মজুদ নেই। কিন্তু বাংলাদেশে এই পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। ফলে বেশি দামে এই পণ্য কিনে বিক্রি করা যাচ্ছে না।
আজিজ পাইপসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আবছার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা পিভিসি লোকাল মার্কেট থেকে কিনি। লোকাল মার্কেট আবার আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে জড়িত। প্রতি টন পিভিসির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে গত অগাস্ট মাসে ছিল ৭০০ ডলার, এখন হয়েছে ১ হাজার ৪০০ ডলার। লোকাল মার্কেটে আগে প্রতি টন পিভিসির দাম ছিল ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। এখন দাম হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।”
তিনি বলেন, “এই দামে কাঁচামাল কিনে আমি আমার পণ্যের দাম ১০ শতাংশ বাড়াতে গিয়ে দেখি যে আমার বিক্রি ৫০ শতাংশ কমে গেছে। এখন আমাকে যদি লোকাল মার্কেট থেকে কাঁচামাল কিনে পণ্য বিক্রি করতে হয়, তবে আমার পণ্যের দাম ৪০ শতাংশ বাড়াতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের পণ্য বিক্রিই হবে না।”
পুঁজিবাজারে সোমবার আজিজ পাইপসের শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। ঢাকার পুঁজিবাজারে রোববার এ শেয়ার ৯৭ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল, সোমবার তা বিক্রি হয়েছে ৯৭ টাকা ৫০ পয়সায়।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে।
আজিজ পাইপ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মুনাফা করেছিল ৩৫ লাখ টাকা, লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ৫টি শেয়ার দিয়েছিল।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ কোম্পানি ৪২ লাখ টাকা মুনাফা করে এবং প্রতি শেয়ারে ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়।
আর ২০১৯-২০ অর্থবছরে মুনাফা করে ১৪ লাখ টাকা; লভ্যাংশ হিসেবে প্রতি শেয়ারে ১০ পয়সা দেয়।
পুঁজিবাজারে আজিজ পাইপের ৫৩ লাখ ৪৭ হাজার ১২৫টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৩৩ দশমিক শূন্য ৮৩ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬১ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার আছে।
আজিজ পাইপের বাজার মূলধন ৫২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ঋণাত্বক ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা।