ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।
আওপিও ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার পর রবির শেয়ারের দাম ক্রমাগত বেড়ে সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত বেড়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ডিসেম্বর রবির শেয়ারের দর ছিল ১০ টাকা, যা বেড়ে মঙ্গলবার ৩৯ টাকা ৪০ পয়সায় উঠে। অর্থাৎ ৮ দিনে তাদের শেয়ারের দাম ২৯ টাকা ৪০ পয়সা বা ২৯৪ শতাংশ বেড়েছে।
বাস্তব কারণ ছাড়া শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়লে তা স্থায়ী হয় না। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা বেশি দামে শেয়ার কিনে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
এ ধরনের প্রবণতা দেখলে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ কোম্পানির কাছে তার ব্যাখ্যা চায়।
সোমবার রবি আজিয়াটার কাছে শেয়ারের দাম বাড়ার কারণ জানতে চেয়েছিল ডিএসই।
জবাবে কোম্পানিটি বলেছে, তার কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই, যার প্রভাবে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে।
রবি শেয়ার প্রথম লেনদেন হয় গত ২৪ ডিসেম্বর । সেদিন ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারটির দর ৫০ শতাংশ বেড়ে ১৫ টাকা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ‘ROBI’ কোড ও ২৭০০৩ নম্বর কোম্পানি কোড নিয়ে ‘এন’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে রবির শেয়ার।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রবি পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন পায়।
রবির আইপিও থেকে মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা তহবিল সংগ্রহ করতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ছাড়ে।
এর মধ্যে রবি কর্মীদের কাছে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার বিক্রি করে ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকা তুলেছে।
বাকি ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার মধ্যে ১৫৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯ হাজার ৬০০ টাকা বরাদ্দ ছিল যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য। বাকিটা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য।
২০১৯ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুয়ায়ী রবির সম্পদ মূল্য ১৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। গতবছর তারা মুনাফা করেছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ সময়ে তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ১২ টাকা ৬৪ পয়সা আর শেয়ার প্রতি মুনাফা ৪ পয়সা।
২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী রবির মোট সম্পদ ১৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। রিটার্ন অন অ্যাসেট দশমিক ১০ শতাংশ। এর অর্থ ১০০ টাকার সম্পদ ব্যবহার করে ১০ পয়সা মুনাফা হয়েছে।