নিয়ম এড়িয়ে বেস্ট হোল্ডিংসের সরাসরি তালিকাভুক্তির চেষ্টা আটকে দিয়েছে বিএসইসি

বিদ্যমান নিয়ম এড়িয়ে সরাসরি তালিকাভুক্তির (ডিরেক্ট লিস্টিং) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে এসে ২৮৩ কোটি টাকা তুলতে চাইছে ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল লো মেরিডিয়ানের পরিচালনাকারী কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Dec 2020, 05:04 AM
Updated : 17 Dec 2020, 05:31 PM

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পর্ষদ সভায় বৃহস্পতিবার তাদের ওই আবেদন নিয়ে আলোচনা হওয়ারও কথা থাকলেও সরাসরি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ এবং বেস্ট হোল্ডিংসের যোগ্যতা নিয়ে কয়েকটি আইনি প্রশ্ন তুলে সেসব বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এসব প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত বেস্ট হোল্ডিংসের তালিকাভুক্তির সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিএসইসির উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে।

আর যে কৌশলে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড সরাসরি তালিভুক্ত হতে চাইছে, তাতে ‘সীমাহীন জোচ্চুরির’ ঝুঁকি দেখতে পাওয়ার কথা বলেছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি।

সরাসরি তালিকাভুক্ত হয়ে পুঁজিবাজারে ৪ কোটি ৩৫ লাখ সাধারণ শেয়ার ছাড়ার ‘বিশেষ অনুমতি’ চেয়ে গত ১২ নভেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে ওই আবেদন করে বেস্ট হোল্ডিংস।

এ প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে ২৩৮ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার ৭৭ টাকা তোলার পরিকল্পনার কথা বলা হয় সেই আবেদনে। 

বেস্ট হোল্ডিংসের ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে রয়েছে চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের কোম্পানি রেইস পোর্টফোলিও অ্যান্ড ইস্যু ম্যানেজমেন্ট এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

ডিরেক্ট লিস্টিং হল সেই পদ্ধতি, যেখানে একটি কোম্পানি তাদের পেইড-আপ ক্যাপিটাল না বাড়িয়ে এবং নতুন শেয়ার ইস্যু না করে সরাসরি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারে। এ নিয়মে ওই কোম্পানিকে তাদের হাতে থাকা শেয়ার পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করার সুযোগ দেওয়া হয়।

২০১৬ সালে বিএসইসির জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কোনো বেসরকারি কোম্পানিকে সরাসরি তালিকাভুক্তির নিয়মে পুঁজিবাজারে আসার সুযোগ দিতে পারবে না। কেবল সরকারি কোম্পানি বা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানই সরাসরি তালিকাভুক্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।

এখন বেস্ট হোল্ডিংস তাদের মালিকানার ৭০ দশমিক ৪ শতাংশ বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানায় থাকার পরও সরাসরি তালিকাভুক্তির ওই সুযোগ নিতে চাইছে।

বেস্ট হোল্ডিংসের ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের হাতে। এটাকেই যুক্তি হিসেবে দেখিয়ে তারা সরাসরি তালিকাভুক্তির ওই বিশেষ অনুমতি দাবি করছে।  

হসপিটালিটি ছাড়াও কৃষি, নির্মাণ এবং বিজ্ঞাপনী বাজারে ছড়িয়ে আছে বেস্ট হোল্ডিংসের ব্যবসা। সরাসরি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতি পাওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীর নামে বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো একটি চিঠির কথাও উল্লেখ করেছে তারা, যেখানে ‘দেশের অর্থনীতির স্বার্থে’ নির্মাণ খাতের কোম্পানিগুলো সরাসরি তালিকাভুক্তির সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

তবে অর্থমন্ত্রীর নামে পাঠানো ওই চিঠির সত্যতা যাচাই করা হয়েছে কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে পাঠানো নিয়ন্ত্রক সংস্থার চিঠিতে। 

বিএসইসির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেস্ট হোল্ডিংসের সরাসরি তালিকাভুক্তির কার্যক্রম স্থগিত করতে আমরা মঙ্গলবারই ডিএসইসিকে চিঠি দিয়েছি।”

বেসরকারি খাতের কোম্পানির সরাসরি তালিকাভুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও বেস্ট হোল্ডিংস তা কৌশলে পাশ কাটানোর চেষ্টা করছে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।

তাদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “প্রভাব খাটিয়ে কোম্পানিটিকে সরাসরি তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটা আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন।” 

আর ডিএসইর সাবেক একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “এটা একটা বিরাট জোচ্চুরি হতে যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”

অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তাফা কামালের নামে, তার স্বাক্ষরে গত সেপ্টেম্বরে বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো যে চিঠির কথা এখানে বলা হচ্ছে, সেখানে অবকাঠামো প্রকল্প বা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি নিশ্চিত করতে ডিরেক্ট লিস্টিং রুলস শিথিল করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি শেয়ারের দাম নির্ধারণের নিয়মেও ছাড় চাওয়া হয়েছে।

তবে কোনো কোম্পানির নাম সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। আর রুলস অব বিজনেস অনুসরণ করে অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে কি না, সে বিষয়েও নিশ্চিত নয় বিএসইসি।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য কিংবা বেস্ট হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদের বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।  

বেস্ট হোল্ডিংসের সরাসরি তালিকাভুক্তির আবেদন স্থগিত রাখার নির্দেশনা দিয়ে বিএসইসি যে চিঠি পাঠিয়েছে, সেখানে পাঁচটি বিষয়ে প্রশ্ন তুলে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে ডিএসইর কাছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে কমিশনের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, সরকারের মালিকানাধীন না হলে অন্য কোনো কোম্পানির ক্ষেত্রে ডিরেক্ট লিস্টিংয়ের প্রভিশন দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কাজে লাগাতে পারবে না।

বেস্ট হোল্ডিংসের কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, তাদের ৫২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশের মালিকানা রয়েছে ব্যক্তি এবং কিছু প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির হাতে। আর বাকি ৪৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক প্লেসমেন্ট শেয়ার হোল্ডাররা।

আবার তার মধ্যে ২৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ মালিকানা রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের হাতে। এর মধ্যে সোনালী ও জনতা ব্যাংকের কাছে রয়েছে ৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ করে। অগ্রণী ব্যাংকের কাছে ৬ দশমিক ৬২ এবং রূপালী ব্যাংকের কাছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ মলিকানা রয়েছে।

এ অবস্থায় বেস্ট হোল্ডিংসকে ডিরেক্ট লিস্টিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়ার জন্য ওই কোম্পানিতে প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডার হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের বিনিয়োগকে ‘সরকারি মালিকানা’ হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ আদৌ আছে কি না সেই ব্যাখ্যা ডিএসইর কাছে চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, বেস্ট হোল্ডিংস ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে মোট ৬৬২ দশমিক ২ কোটি টাকা তুলেছে।

কিন্তু ডিরেক্ট লিস্টিং রেগুলেশনস অনুযায়ী, কোনো কোম্পানি সর্বশেষ দুই বছরের মধ্যে এভাবে তহবিল সংগ্রহ করে থাকলে বা সিকিউরিটিজ ইস্যু করে থাকলে সেই কোম্পানি সরাসরি নিবন্ধিত হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হতে পারে না।

এই অযোগ্যতার বিষয়টি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কীভাবে বিবেচনা করছে, সেই ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চিঠিতে।

বিএসইসি বলেছে, ২০১৬ সালের আগস্ট থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বেস্ট হোল্ডিংসের নিট চলতি সম্পদের মানও ঋণাত্মক, যা ডিরেক্ট লিস্টিং সংশ্লিষ্ট নিয়মের পরিপন্থি।

এছাড়া বেস্ট হোল্ডিংস ৪ কোটি ৩৫ লাখ শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়তে চায়, যা তাদের মোট ৮৭ কোটি শেয়ারের মাত্র ৫ শতাংশ। অথচ সরাসরি তালিকাভুক্ত হতে হলে আইন অনুযায়ী অন্তত ২৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হয়। এসব বিষয়েও ডিএসই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে তিনটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে ৯৪৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে বেস্ট হোল্ডিংস। এর মধ্যে ৬৩১ কোটি ২২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেস্ট সার্ভিস লিমিটেডে, যা থেকে মাত্র ৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আয় হয়েছে। বাকি দুটি সাবসিডিয়ারি থেকে আয়ের কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি।

বেস্ট হোল্ডিংসের ডিরেক্ট লিস্টিংয়ের আবেদন বিবেচনার ক্ষেত্রে ডিএসই পর্ষদ রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্সগুলো কীভাবে নিশ্চিত করার কথা ভাবছে এবং অর্থমন্ত্রীর সেই চিঠির সত্যতা কীভাবে যাচাই করেছে, সেসব বিষয়েও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বিএসইসির চিঠিতে।

১০ টাকা দামের শেয়ারে ৫৫টা প্রিমিয়াম ধরে বেস্ট হোল্ডিংস তাদের প্রতিটি শেয়ার ৬৫ টাকায় সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করতে চেয়েছে। ওই দামে মোট ৪ কোটি ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার ৭৮টি শেয়ার বিক্রি করে পুঁজিবাজারে থেকে তারা ২৩৮ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার ৭৭টাকা তুলেতে চায়।

তবে বেস্ট হোল্ডিংসের আর্থিক ভিত্তির সঙ্গে শেয়ারের ওই দাম কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পুঁজিবাজারের একজন বিশ্লেষক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, বেস্ট হোল্ডিংসের আর্থিক ভিত্তি ওই দাম পাওয়ার জন্য ‘উপযুক্ত অবস্থায় নেই’।

“তারা প্রথমে সোনালী ব্যাংকসহ সরকারি কয়েকটি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। কিন্তু ঋণের টাকা তারা ফেরত দিতে পারেনি। টাকা ফেরত দিতে না পেরে তারা ৬৫ টাকা দরে প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে।

“কিন্তু একই কোম্পানি আবার মাত্র ১০ টাকা দরে তাদের শেয়ার অন্য বিনিয়োগকারীদের কাছে প্লেসমেন্টে বিক্রি করেছে, কারণ তাদের আর্থিক যে ভিত্তি, তাতে তাদের শেয়ারের দাম ৬৫ টাকা হতে পারে না।”

ওই বিশ্লেষক বলেন, “এখন যদি তারা সারাসরি তালিকাভুক্তি বা ডিরেক্ট লিস্টিং-এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে পারে এবং ৬৫ টাকা দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করতে পারে, তা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

“তাছাড়া এই মহামারীর মধ্যে যখন হোটেল ব্যবসা খুবই খারাপ, তখন সাধারণ নিয়মেই কোনোভাবে ওই শেয়ারের দাম ৬৫ টাকা হতে পারে না।”

বেস্ট হোল্ডিংসের প্রস্তাবে দেখা গেছে, রিভ্যালুয়েশন করার পরে কোম্পানির প্রতি শেয়ারে সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৬৮ পয়সা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের পরিমাণ ৮৭ কোটি ৯ লাখ ৬২ হাজার। সে হিসাবে কোম্পানির সম্পদের মোট সম্পদের পরিমাণ হয় ৫ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা।

ওই বিশ্লেষক বলেন, “সোজা নিয়মে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলতে পারবেনা বুঝতে পেরে বাঁকা পথ ধরেছে বাংলাদেশের লো মেরিডিয়ানের মালিক বেস্ট হোল্ডিংস গ্রুপ। সে কারণেই বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশিন আটকে দিয়েছে।”

এ বিষয়ে কথা বলতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রকিবুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। কথা বলার জন্য টেক্সট মেসেজ পাঠানো হলেও তার সাড়া মেলেনি।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হককে ফোন করা হলে তিনিও ধরেননি।