লুব-রেফ নিলাম: ৫০ টাকার বেশি দরপ্রস্তাবের ব্যাখ্যা দিতে হবে

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চাওয়া লুব্রিকেন্ট কোম্পানি লুব-রেফের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2020, 03:58 PM
Updated : 18 Nov 2020, 03:58 PM

তবে লুব-রেফের প্রান্তসীমা মূল্য নির্ধারণের সময় যে সব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ৫০ টাকার বেশি দর হাঁকিয়েছিলেন তাদের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।

চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের সভাপতিত্বে বুধবার  পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এখন লুব-রেফ সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করতে পারবে।  

পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গত ২১ অগাস্ট লুব-রেফকে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের প্রাথমিক অনুমোদন দেয়।

১৫০ কোটির মধ্যে ৭৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনার জন্য নিলামে দাম হাঁকানো শুরু ১২ অক্টোবর। লুব-রেফের প্রান্তসীমা মূল্য হয় ৩০ টাকা।

বাকি ৭৫ কোটি টাকা ৩০ টাকা থেকে ১০ শতাংশ কমে ২৭ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লটারিতে পাবে।

১৫০ কোটি টাকা তুলতে লুব-রেফ ৪ কোটি ৫২ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৪টি শেয়ার বাজারে ছাড়বে।

লুব-রেফ (বাংলাদেশ) ২০০১ সালের ১৮ নভেম্বর ব্যবসায়িক নিবন্ধন পায় এবং ২০০৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর কার্যক্রম শুরু করে। এ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, আর চেয়ারম্যান রুবিয়া নাহার।

লুব্রিকেন্ট অয়েল মিশ্রণ ও পরিশোধন করে ‘বিএনও লুব্রিকেন্টস’ ব্র্যান্ড নামে বিক্রি করে লুব-রেফ। ইঞ্জিন অয়েল, গিয়ার লুব্রিকেন্ট, হাইড্রলিক অয়েল, ট্রান্সফর্মার অয়েল ও গ্রিজ তাদের প্রধান পণ্য।

২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থবছরে ১৫৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করে লুব-রেফ ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।