মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়বসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইপিওর জন্য একটি বিও অ্যাকাউন্টের বিপরীতে সর্বোচ্চ এক লটের জন্য আবেদন করা যাবে।
রবি আইপিওর প্রতি লটে থাকছে ৫০০টি করে শেয়ার। আর প্রতি শেয়ারের দাম ১০ টাকা। সে হিসেবে পাঁচ হাজার টাকায় রবির আইপিওতে আবেদন করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।
রবির আইপিও ইস্যু ম্যানেজারের দায়ত্বে থাকা আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবি পুঁজিবাজার থেকে ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা তুলতে চায়।
এজন্য তারা ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ৪২ হাজার ৪০০টি শেয়ার ছাড়বে।
এর বাইরে আরও ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার রবি তাদের কর্মীদের কাছে বিক্রি করেছে। সেখান থেকে তারা ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকা পেয়েছে।
তাদের মোট শেয়ারের ১০ শতাংশ পুঁজিবাজারে ছাড়বে।
সব মিলিয়ে রবি ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা তুলবে।
আইপিওর ৫১৫ কোটি ৭৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৪ টাকা দিয়ে নেটওয়ার্ক পরিধির বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে রবির। আর আট কোটি দুই লাখ নয় হাজার ৭৬৬ টাকা আইপিও বাবদ খরচ হবে।
২০১৯ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুয়ায়ী কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য ১৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। গতবছর তারা মুনাফা করেছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এ সময়ে তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ১২ টাকা ৬৪ পয়সা আর শেয়ার প্রতি মুনাফা ৪ পয়সা।
২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী রবির মোট সম্পদ ১৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। রিটার্ন অন অ্যাসেট দশমিক ১০ শতাংশ। এর অর্থ ১০০ টাকার সম্পদ ব্যবহার করে ১০ পয়সা মুনাফা হয়েছে।
রবির নেট প্রফিট মার্জিন দশমিক ২৩ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকার বিক্রিতে ২৩ পয়সা মুনাফা হয়েছে।
রবি আজিয়াটার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইজাজউদ্দিন বিন ইদ্রিস ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ।