রোববার লভ্যাংশ ঘোষণার পরও ঢাকার পুঁজিবাজারে দিনের লেনদেন শেয়ারের দাম প্রায় ৯ শতাংশ কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনশেষে শেয়ারটির দর ছিল ৭৫৫ টাকা ৮০ পয়সা, যা বৃহস্পতিবার ছিল ৬৮৮ টাকা ৬০ পয়সা।
২০০ শতাংশ লভ্যাংশ মানে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ২০ টাকা করে পাবেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ দেওয়া হবে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ টাকা দিলেও পরিচালকরা নিয়েছেন প্রতি শেয়ারে সাড়ে ৭ টাকা বা ৭৫ শতাংশ লভ্যাংশ নেবেন।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ১৯ নভেম্বর।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারের ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রতি শেয়ারে মুনাফা করেছে এক ২৪ টাকা ২১ পয়সা। আর তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৪ টাকা ৪৮ পয়সায়।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতি শেয়ারে মুনাফা করেছে এক ৪৫ টাকা ৮৭ পয়সা। সে হিসাবে তাদের শেয়ার প্রতি মুনাফা বছরের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমে গেছে।
২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মুনাফা করেছিল ১ হাজার ৩৭৬ কোটি ১১ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৯৯ দশমিক শূণ্য ৩ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার আছে।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বর্তমান বাজার মূলধন ২২ হাজার ৮৯৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৬ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন