অর্থাৎ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ৪ টাকা ৭০ পয়সা করে পাবেন এবং প্রতি ২০টি শেয়ারে নতুন একটি শেয়ার পাবেন।
৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ দেওয়া হবে।
লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি ব্যবসা বাড়াতে ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণাও দিয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ২২ নভেম্বর।
লভ্যাংশের খবরের পর স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারের দাম কমেছে। বৃহস্পতিবারবার এ শেয়ার ঢাকার পুঁজিবাজারে ২০৫ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল। রোববার তা ২০৩ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রতি শেয়ারে মুনাফা করেছে এক ১৫ টাকা ৮২ পয়সা। আর তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৫৭ পয়সায়।
১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড মুনাফা করেছিল এক হাজার ১৫৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি তিন টাকা ৬০ পয়সা এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন সাতটি শেয়ার।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড মুনাফা করেছিল এক হাজার ২৬৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি চার টাকা ২০ পয়সা এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন সাতটি শেয়ার।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৮৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৩৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১১ দশমিক ৪৩, বিদেশিদের হাতে ১৭ দশমিক শূন্য দুই এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৬ দশমিক শূন্য ৯৮ শতাংশ শেয়ার আছে।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বর্তমান বাজার মূলধন ১৭ হাজার ৩১৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৮৪৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা।