পিপলস লিজিং: আমানত ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসে জমা রাখা টাকা ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন আমানতকারীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2020, 02:30 PM
Updated : 19 Oct 2020, 02:30 PM

সোমবার মতিঝিলে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তিন দফা দাবি জানিয়েছে আমানতকারীদের দল।

২০১৪ সালে তদন্ত করে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম পায় বাংলাদেশে ব্যাংক। পরে পরিচালনা বোর্ড ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতো কিছুর পরও প্রতিষ্ঠানটির উন্নতি করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় গত বছরের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠানটি অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এটা ছিল প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়নের উদ্যোগ। সেসময় আমানতকারীরা তাদের টাকা ফেরত পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

কিন্তু প্রায় এক বছর পরে এসে আমানতকারীরা অভিযোগ করছেন, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।

সোমবার বেলা ১২টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত ‘পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিতে ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র আমানতকারীদের কাউন্সিল’ ব্যানারে মতিঝিলে মানববন্ধন করেন তারা।

পরে মিছিল নিয়ে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন বলে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল পরিচয় দেওয়া রানা ঘোষ জানান। সেখানে তিন পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্যে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।

তাতে অবসায়ন না করে পুনর্গঠন করে আমানতকারীদের টাকা ফোরত দেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “আমাদের অসহায় জীবনের কথা বিবেচনা করে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিতে রাখা কষ্টার্জিত সঞ্চয়ের আমানত যেন দ্রুত ফেরত পেতে পারি সেজন্য আপনার একান্ত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”

১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরু করা এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় মতিঝিলে। এছাড়া গুলশান ও চট্টগ্রামে দুটি শাখা রয়েছে। পিপলস লিজিংয়ে এক হাজার ১৩১ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ৭৪৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৬৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।

ধারাবাহিক লোকসানের কারণে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালের পর থেকে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

আর ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আছে এই কোম্পানির শেয়ারের।

তাদের মোট শেয়ারের ৬৭ দশমিক ৮৪ শতাংশই রয়েছে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে স্পন্সর ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে।

আরও পড়ুন